নদী দূষণমুক্ত করতে এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই সরকারের। উচ্ছেদ অভিযানের পর ঢাকার চারপাশে এখন চলছে নদী তীর রক্ষার কাজ। উচ্ছেদ অভিযানের পর ঢাকার চারপাশে এখন চলছে নদী তীর রক্ষার কাজ।
নৌ পথে চলা লাখো নৌযানের সব আবর্জনা ও যাত্রীদের মলমূত্র সরাসরি গিয়ে মিশছে নদীর পানিতে। যাতে চর্মরোগ, টাইফয়েড, জন্ডিস বা হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন নদী তীরের মানুষ।
এক তথ্য হতে জানা গিয়েছে যে, ঢাকার চারপাশের নদীতে প্রতিদিন সুয়ারেজ লাইন ও খাল দিয়ে পয়োবর্জ্য পড়ছে প্রায় ১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন কিউবিক মিটার। আর প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার কিউবিক মিটার কঠিন বর্জ্য পড়ছে প্রকৃতির এই জীবন্ত সত্ত্বা নদীতে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৪০০ ড্রেনেজ আর সুয়ারেজ লাইন দিয়ে চলছে রাজধানীর চারপাশের নদীকে মেরে ফেলার নির্মম যজ্ঞ।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে খালগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে এগুলোর সংস্কার করে তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান জানান, ইটিপি ব্যবস্থা ছাড়া নতুন কোন লঞ্চ চলাচলে অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না।আর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলছেন, সিটি করপোরেশন ও ওয়াসা সমন্বয় করে ঢাকার চারপাশে ইটিপি বসাচ্ছে।
পানি দূষণমুক্ত করে ব্যবহার উপযোগী করতে না পারলে গত তিন বছর ধরে চলা ঢাকার চারপাশের নদী তীর রক্ষার কাজ অর্থহীন হয়ে পড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন জানান, নদী তলদেশের বর্জ্য উত্তোলন করতে জাপান ও কোরিয়া থেকে জাহাজ আনার কাজ চলমান।