ঢাকা, ১৪ মে মঙ্গলবারঃ অবশেষে টানা চড়া মূল্যের পর রাজধানীর বাজারে বিভিন্ন সবজি সহ পেঁয়াজের মূল্য কিছুটা কমেছে। রোজা শুরুর এক সপ্তাহ পর দেশী পেঁয়াজের মূল্য বাজার ভেদে ৩৫-৩৭ টাকা থেমে নেমে ৩০-৩২ টাকায় এসেছে। সপ্তাহের মাঝে বাজার পরিদর্শন শেষে আমাদের প্রতিনিধি রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুরল বাজার, কাঁঠালবাগান ও মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ঘুরে এসে জানাচ্ছেন যে, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের মূল্য এসব বাজারে ২০ থেকে ২২ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশে উৎপাদিত প্রায় সবরকমের সবজি গেল দুই সপ্তাহ জুড়েই ৫০-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহের মাঝামাঝিতে পটল, বরবটি, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গে, ঢ্যাঁড়শ, টম্যাটো, গাজর, পেঁপে ৩০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে যা তুলনামূলক ভাবে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কম। মূল্যহ্রাসের কারণ জানতে চাইলে, এসব বাজারের একাধিক খুচরা বিক্রেতা ভোক্তাকণ্ঠ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, বাজারে এ মুহূর্তে সবজির যোগান বেশী, ফলে মূল্য কমে গেছে। তবে, ঈদের আগে সাপ্লাই কমে গেলে আবার মূল্য চড়ে যাবার সম্ভাবনাও তারা বেশ হাস্যমুখে জানালেন। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে কাঁচাবাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অগ্নিমূল্য হবার আগাম বার্তা দিয়ে রাখলেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, রসুনের কেজি প্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে যদিও আদা গত দু’সপ্তাহের দর ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে স্থির আছে। একইসাথে স্থির আছে সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাবার অন্যতম উপাদান ‘ডিম’। খুচরা বাজারে ৮২ থেকে ৯০ টাকাইয় ডজন বিক্রি হচ্ছে। তবে, ইফতারের অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত ছোলা, চিনি, খেসারি ও মসুরের ডাল পূর্বের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তি নেই, মাছ ও মাংসের বাজারেও। গরুর মাংস রাজধানীর প্রায় সব বাজারেই ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে, অভিযান ফলপ্রসূ হয়নি এটা স্পষ্ট। অভিযানের খবর পাওয়া মাত্র ৫২৫ টাকা কেজি দরে গরু বিক্রি হলেও, অভিযান শেষে তা ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা কেজিতে গিয়ে ঠেকছে।