সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। লাল লেয়ার মুরগির থেকেও এখন কম দামে পাওয়া যাচ্ছে সোনালী মুরগি। কমেছে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির দাম।
সোনালী মুরগির দাম কমার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের পর থেকেই সোনালী মুরগির দাম কমছে। দফায় দফায় দাম কমে এই মুরগির দাম কেজিপ্রতি লেয়ার মুরগির চেয়েও কমে গেছে। সোনালী মুরগির দাম সাধারণত লেয়ার মুরগির প্রায় দ্বিগুণ থাকে। কিন্তু এখন সোনালী মুরগির দাম কমলেও লেয়ারের দাম কমেনি। সেই সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সবজির চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ বাড়েনি। বরং কিছু কিছু সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এসব কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে।ব্যবসায়ীরা আগের সপ্তাহের মতো ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৩০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে।
সবজি ব্যবসায়ী সবুর আলী সরদার বলেন, এখন সবজির দাম একটু বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। কারণ বাজারে এখন সরবরাহ তুলনামূলক কম। সামনে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে।
মালিবাগের ব্যবসায়ী আলী ইমাম বলেন, শীতের সবজি আসার আগে সবজির দাম কমার সম্ভাবনা কম। বরং এখন দিন যত যাবে পাকা টমেটো, গাজরসহ বিভিন্ন সবজির দাম বাড়বে। তবে পটলের দাম একটু কমতে পারে। কারণ শিগগিরই বাজারে পটলের সরবরাহ বাড়বে।
সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে শসা, বেগুন, পটল, ঢেঁড়সের দাম। মানভেদে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ঢেঁড়সের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।