ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: দেশে জীবাশ্ম জ্বালানি বিমুখ নীতি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে সচেতন নাগরিক সমাজকে জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
বুধবার বরিশাল পুলিশ লাইন রোডের সেলিব্রেশন পয়েন্টে এ সভার আয়োজন করে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি।
নাগরিক সমাজ প্রস্তাবিত ‘জাতীয় জ্বালানি রুপান্তর নীতি ও পরিকল্পনা’ শীর্ষক সভায় মূল আলোচনা করেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র কোহিনূর বেগম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. খুরশিদ আলম, বরিশাল জাসদের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল হাই মাহবুব, বরিশাল জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক মিলু, প্রফেসর গাজী জাহিদ হোসেন, অধ্যাপিকা তুলু রানী কর্মকার, বরিশাল জেলা ক্যাবের সহ-সভাপতি রহিমা সুলতানা কাজল ও দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো চিফ সুশান্ত কুমার ঘোষসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলা ক্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম মহিউদ্দিন মানিক (বীরপ্রতিক) এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রনজিত দত্ত।
সভায় বক্তারা জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প জ্বালানি হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান। সেই সাথে দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে সরকারকে চাপ দেয়ার পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন করার আহ্বান জানানো হয়।
অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দ্রুত সরবরাহ আইনের (দ্রুত সরবরাহ আইন-২০১০) কারণে লুণ্ঠনমূলক ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সরকার এ ব্যয় নিয়ন্ত্রণ না করে বরং নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বিইআরসির আইনকে অকার্যকর করে ইচ্ছেমতো বিদ্যুৎ-জ্বালানীর মূল্য বাড়ানোর পথ সহজ করে দিয়েছে। এর ফলে একদিকে ভোক্তাকে বাড়তি দামে বিদ্যুৎ-জ্বালানী পেতে হচ্ছে অন্যদিকে বিতরণকারী কোম্পানিগুলো জবাবদিহিতার বাইরে রয়েছে।