ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রমজান মাসে ন্যায্যমূল্যে ও সঠিক ওজনে নিরাপদ পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করেছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের সামনে এ পথ সভা করে ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি।
এ সময় পথচারীদের মাঝে ভোক্তা-অধিকার বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
পরে কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ক্রেতা অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানান ক্যাব সদস্যরা।
ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি জামিল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মোহা: শওকত আলী খান, ক্যাব কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আফরোজা সুলতানা, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাপরিচালক ও ক্যাব ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শামস এ খান, ক্যাব উত্তরা শাখা কমিটির উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, ক্যাব উত্তরা কমিটির সভাপতি শাহিনা সুলতানা পপি, ক্যাবের সদস্য ইন্জিনিয়ার মীর রেজাউল করিম ও অধ্যাপক এডভোকেট হাবিবুর রহমানসহ আরও অনেকে।
ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কিছু পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা কার্যকর হয়নি। ভোক্তা তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা মনে করি, বাজারের এই অস্থিরতার জন্য অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দায়ী। তাই সিন্ডিকেট ভেঙে ভোক্তাদের স্বস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, আমরা সকল মানুষকে তাদের অধিকার আদায়ে এখনো সচেতন করে তুলতে পারিনি। তবে আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে আরও বেশি দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে ২০০৯ সালে সরকার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সৃষ্টি করে। তারা ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় কাজ করছে। তবে তাদের আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় জোড়ালো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তাই ভোক্তা অধিদপ্তরকে ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় হিসেবে গঠন করা প্রয়োজন।
ক্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি জামিল চৌধুরী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে ১৯৯৭ সালে ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো সেটা করতে পারেনি। ফলে ভোক্তারা দেশে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই ভোক্তা-অধিকার নিশ্চিত করতে পৃথক ভোক্তা মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।
ক্যাব ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শামস এ খান বলেন, ভোক্তা সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। আমরা ভোক্তাদের কথা বলছি। আমরা আপনাদের কথা বলছি। আমাদের একটাই লক্ষ্য, ভোক্তা-অধিকার রক্ষায় ক্রেতাকে সচেতন করে তোলা।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ভোক্তা-অধিকার নিয়ে কাজ করছে ক্যাব। ক্যাবের দাবির মুখে সরকার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গঠন করেছে। এছাড়াও সরকারের বেশ কিছু সংস্থার আইনেও পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি।