ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ ও ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামের ভোজ্যতেল ব্যবহারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) রাজশাহী জেলা শাখা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জিরো পয়েন্টে সর্বস্তরের নাগরিক ও ভোক্তাদের নিয়ে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা (অভিযোগ) ইঞ্জিনিয়ার খাদেমুল ইসলাম।
ক্যাব রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী ক্যাবের উপষ্টো ও সোনালী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক লিয়াকত আলী, রাজশাহী ক্যাবের উপদেষ্টা এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম, সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ক্যাবের সদস্য হাসান মিল্লাত, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, ওয়ার্কাস পার্টির নেতা আবুল কালাম আজাদ, নাগরিক ভাবনার আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, দিনের আলো হিজরা সংগঠনের সভাপতি মোহনা, রাজশাহী ক্যাবের দপ্তর সম্পাদক কবি অনুরুদ্ধ, প্রচার সম্পাদক সঞ্জু আহম্মেদ, সদস্য সুভাস হেমরম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ ব্যতীত ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ দণ্ডনীয় অপরাধ। উক্ত আইন এবং “ভোজ্যতেল ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ বিধিমালা, ২০১৫” অনুযায়ী, সকল ভোজ্যতেলে নির্ধারিত মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ বাধ্যতামূলক।
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ড্রামে বাজারজাতকৃত ৫৯ শতাংশ ভোজ্যতেল ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ নয় এবং ৩৪ শতাংশ ভোজ্যতেলে সঠিকমাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ নেই। খোলা ড্রামের অনিরাপদ ভোজ্যতেল ব্যবহারের কারণে মানুষের মধ্যে নানাবিধ রোগব্যাধি বিশেষত অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।
এ কারণে ওই সকল ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাত বন্ধে নির্দেশ প্রদান করে তা বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, এজেন্সিসমূহ, ভোজ্যতেল রিফাইনারী এবং প্যাকার্সসমূহকে অনুরোধ/নির্দেশনা প্রদান করেছে। ২০২২ সালের ০২ জুন শিল্প মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাতের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে।
একই আদেশে উক্ত সময়ের পর শতভাগ ভোজ্যতেল ফুডগ্রেড বোতল/ফয়েল/পাউচপ্যাকে বাজারজাত নিশ্চিত করতে নির্দেশ প্রদান করেছে। পাশাপাশি নির্বাচন এবং রমজান বিবেচনা করে অনানুষ্ঠানিক ভাবে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা রমজান মাস পর্যন্ত সময় পেয়েছেন। তথাপি এখন পর্যন্ত ওই সকল ড্রামে বাজারজাত করা হচ্ছে এবং শতভাগ প্যাকেটজাত হচ্ছেনা। ফলে জনগণকে অনিরাপদ ভোজ্যতেল খেতে বাধ্য করা হচ্ছে।
ভোক্তার স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে নন-ফুডগ্রেড ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাত বন্ধকরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সরকার ও স্থানীয় প্রসাশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।