ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বোতলজাত পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ক্যাব কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোহা. শওকত আলী খান, ক্যাব ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সামস এ খান (অব.), ক্যাবের উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, ক্যাব উত্তরা কমিটির সভাপতি শাহিনা সুলতানা (পপি), সাধারণ সম্পাদক স্বপন দেবনাথ, ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ কে আজাদ, ক্যাব বাগেরহাটের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম দেবনাথ ও বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ।
বক্তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে ভীষণ ভাবে। মানুষ নানা ভাবে বিপদগ্রস্ত। গত বছর হঠাৎ করে বোতলজাত পানির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। সে সময় বেশ কয়েকটি কোম্পানি প্রতি বোতল পানির দাম বৃদ্ধি করে। ১৫ টাকার আধা লিটার পানির বোতলের দাম ২০ টাকা করা হয়।
তারা বলেন, বাজারে যেসব বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে পরিচিত ব্র্যান্ডের ৫০০ মি. লি. পানির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এখন ২০ টাকা। কয়েকদিন আগে এসব ব্র্যান্ডের ৫০০ মি. লি. পানির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ছিল ১৫ টাকা। এছাড়া প্রতি ৫০০ মি. লি. বোতলজাত খাবার পানির পাইকারি মূল্য ১১-১২ টাকা। অর্থাৎ ৫০০ মি. লি. পরিমাণের প্রতি বোতল পানি খুচরা পর্যায়ে ৮/৯ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।
বক্তারা আরও বলেন, দেশে পানির বাজার এখন হাজার কোটি টাকার। প্রতি বছর ৩৫ থেকে ৪০ কোটি লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে বোতলজাত পানির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী বড় বড় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেরই এখন পানির ব্যবসা রয়েছে। কিন্তু আমরা সাধারণ ভোক্তারা এই আইনের সুফল পাচ্ছি না। সকল ধরনের বোতলজাত পানির হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধিও এরই ধারাবাহিকতা।
মানববন্ধনে বেশ কয়েকটি দাবি জানায় ক্যাব। সেগুলো হলো-
১. অবিলম্বে সকল ধরনের বোতলজাত পানির অযৌক্তিক, অন্যায় ও অন্যায্য মূল্যবৃদ্ধি বাতিল করতে হবে।
২. ভোক্তাদের ন্যায্যমূল্যে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. বোতলজাত পানির মূল্য স্বাভাবিক করতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪. যেসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান যুথবদ্ধ ভাবে হঠাৎ করে বোতলজাত পানির দাম অযৌক্তিক ভাবে বাড়িয়ে ভোক্তা সাধারণকে কষ্টে ফেলেছে তাদের আইনানুগ বিচার ও শাস্তির পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫. বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন সময়ক্ষেপণ করে সংশ্লিষ্ট বোতলজাত পানি প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোকে ভোক্তাদের নিকট হতে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের সুযোগ তৈরি করে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যানকে তার পদ হতে দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
-এবি