ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্যদের জন্য অসহিষ্ণুতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে পালস বাংলাদেশ সোসাইটি ও আইএসডিই বাংলাদেশ।
গত মঙ্গলবার (২২ অগাস্ট) নগরীর চান্দগাঁওস্থ আইএসডিই বাংলাদেশ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে সহায়ক ছিলেন পালস বাংলাদেশের কলিমুল্লাহ ও ক্যাব যুব গ্রুপের চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে ক্যাব যুব গ্রুপের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক আবুল কাসেম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মিশকাত, মহারাজ চৌধুরী, একরাম ইকু, মাসুমা তাবাসসুম, জেরিন তাসনীম, তাওহিদা, জয় চক্রবর্তী, চিংমা মার্মা, সুরমী দাশ, সাকিবুল ইসলাম, সায়েমা আক্তার ওয়াসী, উষ্মে তানজিলা খানম জেসিকা, পিয়াল কান্তি শীল প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দ্বন্দ্ব ও সহিংসতা পরিহারে নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবহার, উসকানীমূলক ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিহার, রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মী হিসেবে সমাজে সকল পক্ষের সহ-অবস্থান, যোগ্য ও জনঅংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
কর্মশালায় বলা হয়, ছাত্র রাজনীতিতে একটা সময় শিক্ষা ও ছাত্রদের অধিকারের বিষয়টি প্রাধান্য পেলেও কালক্রমে এটি হারিয়ে গেছে। সেখানে মূল রাজনৈতিক দলের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাচ্ছে। যার কারণে শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণ ও ছাত্রদের সমস্যাগুলো এখন আর আলোচনায় আসছে না। যার পরিণতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন আর শিক্ষা বিস্তারের কেন্দ্রবিন্দুতে নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষুদ্র বিষয় নিয়েও দলাদলি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস শিক্ষাঙ্গণের পুরো পরিবেশকে বিপন্ন করছে। শিক্ষাঙ্গণে শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষা প্রশাসনসহ সকল মহলের সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া এখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সহজ নয়।
কর্মশালায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অপব্যবহার, ইন্টারনেটে নানা গেম, অশ্লীল ভিডিও’র ছড়াছড়ির কারণে তরুণদের অবক্ষয় সামাজিক ব্যাধিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এছাড়াও সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠি নানা প্রতারণা ও ধর্মীয় উস্কানী ছড়িয়ে বিষাক্ত করছে। এ জন্য ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি জরুরি।