ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: কক্সবাজারে শিক্ষার্থী ও পরিবেশবাদিদের সঙ্গে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘পরিবেশবাদি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপ: জ্বালানি রূপান্তর-পরিবেশ সুরক্ষা-ভোক্তা অধিকার’ শিরোনামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক করিমউল্লাহর সঞ্চালনায় ও ক্যাবের কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরির সভাপতিত্বে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে জ্বালানি রূপান্তর, ভোক্তা অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ে আলোচনা করেন প্রকৌশলী শুভ কিবরিয়া।
ক্যাব প্রস্তাবিত বাংলাদেশ জ্বালানি রূপান্তর নীতি- ২০২২ বিষয়ে আলোকপাত করে তিনি বলেন, জ্বালানি সংকট চলছে দুনিয়াজুড়ে। চলছে জ্বালানি রূপান্তর। কার্বনযুক্ত জ্বালানি থেকে কার্বনমুক্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যাত্রার এই রূপান্তর পথে হঠাৎ এসে হাজির হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। পৃথিবীব্যাপী শুরু হয়েছে জ্বালানি সংকট। তার প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। ইতোমধ্যে সব জিনিসের দাম বেড়েছে। ফলে, জ্বালানির বিষয়ে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জ্বালানি রূপান্তর বিষয়ে আমাদের তরুণ সমাজকে অবহিত হতে হবে। সব বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে। জ্বালানির দাম কেন বাড়ছে, তা কতটুকু যৌক্তিক সেটা আমাদের প্রশ্ন করে জানতে হবে। জ্বালানি নিরাপত্তা, জ্বালানি অধিকার নিশ্চিত করতে হলে আমাদের আরও সজাগ হতে হবে। জ্বালানি রূপান্তর পথনকশায় আমাদের ভোক্তা অধিকার, পরিবেশ অধিকার কতটুকু সুরক্ষিত, সে বিষয়ে আমাদের অজ্ঞতা আমাদের নাগরিক অধিকারকেই ক্ষুণ্ণ করবে।
জ্বালানি নিরাপত্তা-জ্বালানি অধিকার-পরিবেশ সুরক্ষা-ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের করণীয় কি হতে পারে সে বিষয়ে বিশদ ব্যখ্যা দিয়ে প্রকৌশলী শুভ কিবরিয়া জ্বালানি সংকট, দেশের বিদ্যুত পরিস্থিতি, ভোক্তাদের করণীয়, ক্যাবের ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত করেন।
প্রায় শতাধিক সুধীজন ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে ভোক্তার অধিকার, জ্বালানি রূপান্তর, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবেশ সুরক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থী-সুধীজনদের নানা কৌতুহলী প্রশ্নেরও উত্তর দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাপা কক্সবাজার জেলার পরিবেশবাদি এইচ এম এরশাদ, এইচ, এম নজরুল ইসলাম, খেলাঘরের এম. জসিমউদ্দিন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে ‘স্টুডেন্ট ফোরাম ফর এনার্জি ট্রনিজিশন’ স্থানীয় শাখা গঠনের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করা হয়।