ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ঢাকা টু টেকনাফ সড়কে নিয়মিত চলাচল করে সেন্টমার্টিন হেরিটেজ ট্রাভেল নামের একটি বাস সার্ভিস। ঢাকা টু টেকনাফ এবং অগ্রিম টেকনাফ টু ঢাকা টিকিট কেটে সেবা পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে এই বাস সার্ভিস প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কল সেন্টারের মাধ্যমে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী যাত্রী।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সেন্টমার্টিন হেরিটেজ ট্রাভেলের আরামবাগ বাস কাউন্টার থেকে ঢাকা টু টেকনাফ ২৩ ফেব্রুয়ারির টিকিট এবং টেকনাফ টু ঢাকা ২৫ ফেব্রুয়ারির অগ্রিম ৪টি টিকিট ক্রয় করেন। আসা যাওয়ার টিকিটের মূল্য রাখা হয় ১৪ হাজার ৫০০ টাকা।
টিকিট অনুসারে ২৩ ফেব্রুয়ারি চারজন যাত্রী ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন হেরিটেজ ট্রাভেলের বাসে করে টেকনাফ পৌছায়। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি একই কোম্পানির গাড়িতে ঢাকায় ফেরার কথা থাকলেও তা আর সম্ভব হয়নি।
অভিযোগে ভুক্তভোগী জানান, সেন্টমারটিন দ্বীপ ভ্রমণ করে আমরা ২৫ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ আসি। টেকনাফ এসে আমরা আমাদের ফেরার বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। কিন্তু আমরা যে বাসের টিকিট ক্রয় করেছিলাম সে বাস টি সেদিন আসেনি। টেকনাফ কাউন্টারে যোগাযোগ করলে তারা জানায় বাসটি দুইদিন আগে ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে। অথচ আমাকে কোনো প্রকার ম্যাসেজ বা কলের মাধ্যমে জানানো হয়নি। তৎক্ষণাৎ আমি ঢাকা অফিসে ফোন করি। তারা তাদের ভুল স্বীকার করে আমাকে অন্যবাস ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু কোনো বাসের টিকিট ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয় তারা।
তিনি আরও জানান, পরিবার নিয়ে সেখানে বেশিক্ষণ অবস্থান করা আমার কাছে নিরাপদ মনে না হওয়ায় আমি তাদের কে জানিয়ে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার এর উদ্দেশ্যে রওনা হই অন্য একটি বাসে করে। যেহেতু সেখানে অনেক বাস থাকে এবং টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারা জানায় কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাবার বাসের টিকিট তারা ম্যানেজ করে দিবে। কক্সবাজার এসে পোঁছাই রাত ১১ টায়। তখন তাদের সাথে যোগাযোগ করলে জানায় তারা সেই টিকিটও ম্যানেজ করতে পারেনি। এবং ঢাকা আসলে তারা টিকিট এর মূল্য রিটার্ন করবে।
তিনি জানান, আমি নিজে নিজে সব বাস কাউন্টারে টিকিট ক্রয়ের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। সেই সময়ে তাদের ফোন করলেও কেউ আমার ফোন ধরেনি। উপায়ান্তর না দেখে আমি পরিবার নিয়ে কক্সবাজারের একটি হোটেলে উঠি এবং পরের দিন দুপুরে (২৬ ফেব্রুয়ারি) রিলাক্স কোম্পানির বাসে করে ঢাকায় পৌছাই।
অভিযোগে আরও জানানো হয়, পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি সেন্টমার্টিন হেরিটেজ ট্রাভেলের ঢাকা অফিসে ফোন করে ক্ষতিপূরণ দাবি করলে তারা শুধু টিকিট এর মূল্যবাবদ ৭ হাজার ২০০ টাকা দিতে সম্মত হয় যা আমি নেইনি। অথচ অতিরিক্ত একদিন থাকা প্লাস বাসের টিকিটের মূল্য সহ আমার প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে সেই সাথে ভোগান্তি তো ছিলোই। তাদের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করলে তারা তা দিতে অসম্মতি জানায়।
এমতাবস্থায় আমি তাদের যথাযথ বিচার এবং আমার ক্ষরিপুরন দাবি করছি বলে জানান ভুক্তভোগী।
তবে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সেন্টমার্টিন হেরিটেজ ট্রাভেলের যোগাযোগ নাম্বারে কল করে ফোন না ধরায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এসআর