ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: খুলনা মহানগরীতে র্যাবের অভিযানে চারটি খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স না থাকাসহ নানা অপরাধে তাদেরকে এ জরিমানা করা হয়। সোমবার (১৮ এপ্রিল) নগরীর সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব-৬ এর সদর কোম্পানি কমান্ডার, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব-৬ জানায়, খুলনা মহানগরের সোনাডাঙ্গা ও সদর থানা এলাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিএসটিআই আইন, ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন এবং ভোক্তা অধিকার আইন অমান্য করে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল, এমন তথ্য পায় র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত র্যাব-৬ সদর কোম্পানি কমান্ডারের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মো. আল-আমিন এবং বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার রঞ্জিত কুমার মল্লিক, ফিল্ড অফিসার রেজানুর রহমান সরকার ও বাগেরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজি সেনিটারি ইন্সপেক্টর শেখ মো. মাসুমের সহযোগিতায় কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা ও সদর থানা এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় নগরীর সোনাডাঙ্গা বাইপাস সড়কের মেসার্স ইসমাইল ফুডের স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তফা কামালকে বিএসটিআই হতে লাইসেন্স না নিয়ে বিস্কুট, রুটি, কেক বিক্রয় ও বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করার দায়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন ২০১৮ এর ১৫(১)/২৭ ধারায় ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, সোনাডাঙ্গার নিউ রতন চানাচুর ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী সিদ্ধেশ্বর রায়কে বিএসটিআই থেকে দেওয়া মোড়ক নিবন্ধন সনদের শর্তাবলী যথাযথ পালিন না করায়, ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ এর ২৪(১)/৪১ ধারায় ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
এ ছাড়া নগরীর সোনাডাঙ্গার সাতক্ষীরা যাদব ঘোষ ডেয়ারির স্বত্বাধিকারী শংকর ঘোষকে অস্বাস্থ্যকর, অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন- ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, হাদিস পার্ক এলাকার সাতক্ষীরা যাদব ঘোষ ডেয়ারির স্বত্বাধিকারী সমীরণ ঘোষকে অস্বাস্থ্যকর, অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫৫ ধারায় ৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান ও আদায় করা হয়েছে।
মোবাইল কোর্ট সব অভিযুক্তদের নিকট থেকে সর্বমোট ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মো. আল-আমিন জরিমানা আদায় করা ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেন।