সিটিং সার্ভিস বা ওয়েবিলের নামে কোনো গণপরিবহন চলবে না বলে বাস মালিকদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হলেও আজও তা বন্ধ হয়নি। রবিবার থেকে ওয়েবিল বন্ধের কথা বলা হলেও দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর সিটিং সার্ভিস গাড়িগুলোতে চলছে ওয়েবিল কার্যক্রম। নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। ফলে ভাড়া নিয়ে গাড়িতে গাড়িতে যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ড করতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন ওয়েবিল চেকিং পয়েন্ট ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে। তবে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছে বিভিন্ন পরিবহনের ওয়েবিল চেকার এবং গাড়ির স্টাফেরা। চেকারের ভাষ্যমতে মালিকপক্ষের যাত্রীদের হিসাব রাখতে চলছে ওয়েবিল। তবে ওয়েবিল অনুযায়ী বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন। এদিকে গাড়ির যাত্রীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন চেক প্রতি ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। পরিবহন স্টাফ বলছেন চেক প্রতি ৩ টাকা ভাড়া বাড়িয়েছে মালিক পক্ষ।
সবার ভাষ্য একই যে মালিকপক্ষ থেকে ওয়েবিল বন্ধের কোন নির্দেষ আসে নাই। যাত্রীদের হিসাব মেলানোর জন্যই ওয়েবিল এখনও চালু রেখেছে মালিকরা। তবে ওয়েবিল অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। সকল গাড়ি লোকাল হিসেবে চলছে এবং কিলোমিটার হিসেবে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ওয়েবিল বন্ধের দ্বিতীয় দিনেও অনেক গাড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের সঙ্গে তর্কে জড়াতে দেখা গেছে গাড়ির স্টাফদের। যাত্রীদের অভিযোগ গাড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, ‘আপাতত সিটিং সার্ভিস ও গেটলক সার্ভিস বন্ধে কাজ করছি। এরপর ওয়েবিল বন্ধে কাজ শুরু হবে। যারা বাড়তি ভাড়া আদায় করছে, বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট তাদের জরিমানা করছে, ডাম্পিং করছে।’
কবে নাগাদ ওয়েবিল বন্ধ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা এখনো বলতে পারছি না।’ ওয়েবিলের সঙ্গে ভাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান এই পরিবহন নেতা।