অনলাইন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ ও প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষক পরিদর্শক সোহেলের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগীদের টাকা অনতিবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়াসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ই-অরেঞ্জ ভুক্তভোগী কেন্দ্রীয় কমিটি’ আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে তারা এই দাবি জানান।
তাদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- সব ভুক্তভোগী গ্রাহকের আর্থিক ক্ষতির দায়ভার ই-অরেঞ্জকে নিতে হবে; ই-অরেঞ্জ প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; ই-অরেঞ্জ প্রতারণার মাস্টারমাইন্ড পরিদর্শক সোহেলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে; এসএসএল কমার্স ও ই-অরেঞ্জের কত টাকা আটকে আছে সে সম্পর্কিত তথ্য অনতিবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে; ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে সব তদন্ত রিপোর্ট অনতিবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে; আসামিদের রিমান্ড থেকে পাওয়া তথ্য সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ করতে হবে; ই-ক্যাবকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করতে হবে; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ভুক্তভোগী সব গ্রাহকের ক্ষতির দায়ভার নিতে হবে এবং সুষ্ঠু সমাধান না আসা পর্যন্ত আসামিদের সব জামিন নাকচ করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সারাদেশে ই-অরেঞ্জের এক লাখের বেশি ভুক্তভোগী ক্রেতা যাদের অধিকাংশই বেকার যুবক ও ছাত্র। ২০ কর্মদিবসের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও ইতোমধ্যে তিন মাস সময় পার হয়ে গেছে। আমরা ই-অরেঞ্জ থেকে পণ্য ও ভাউচার কিনেছিলাম কিন্তু কর্তৃপক্ষ ভাউচার দিয়ে পণ্য কেনা ও ডেলিভারি বন্ধ করেছে। গত ১৮ জুলাই ডেলিভারির তারিখ থাকলেও পরবর্তীতে লকডাউনের দোহাই দিয়ে ডেলিভারি বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে।
মানববন্ধনে ই-অরেঞ্জ ভুক্তভোগী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।