খুলনার বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। তবে ব্রয়লার মুরগির ডিম হালিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। এছাড়া শীতের সবজিতে বাজার ভরপুর থকালেও দাম কমেনি।
শনিবার (৬ নভেম্বর) নগরীর কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে, প্রতিকেজি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা, ব্রয়লার ১৫০ টাকা, লেয়ার লাল ও সাদা জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা দরে। এছাড়া দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে আগের দর ৩৫০ টাকায়।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের মুরগি বিক্রেতা বাবু, মামুন, আবু জানান, সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও গত প্রায় দুই মাস ধরে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মুরগির দাম বাড়িয়েছে খামারিরা। মুরগির খাদ্যের দাম বৃদ্ধির অযুহাতে মুরগির দাম বাড়ান তারা। ফলে ১২০ টাকার মুরগি এক লাফে ১৮০ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। এখন দম কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
এদিকে মুরগির দাম কমতে শুরু করলেও পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাওয়া নিত্যপণ্যের দাম একটুও কমেনি। মহানগরীর গল্লামারী, করপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, টুটপাড়া জোড়াকল, ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারে দেখা যায়, কুঁমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় আর পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া গাজর ১৪০-১৬০ টাকা, লাল শাক ৪০, পালং ৪০, ঝিঙে ৪০, শিম ৮০, টমেটো ৮০, কাঁচা মরিচ ১৪০, পেঁয়াজ ৬০ এবং বেগুন ৫০- ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আসা শীতের অগ্রিম পণ্য বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৮০, বিট কপি ৮০, ওল ৮০, কচু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গল্লামারী বাজারের ক্রেতারা বলেন, বাজারে কোনো পণ্যের সরবরাহ কমতি নেই। শীতের সবজিও আসছে। কিন্তু সবকিছুর দাম বেড়েই চলেছে। কাঁচা ঝালের দাম যেনো কোনোভাবেই কমছে না।
তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, দাম বাড়লেও ক্রেতারাদের কিছু করার থাকে না। খেতে হবে তাই কিনতে বাধ্য। এদিকে খুলনার বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, ডিমের দামও বেড়েছে। ৩২ টাকা হালির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।