ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: দোকান খালি, ক্রেতারা গেলেই বিক্রেতা জানাচ্ছিলেন- বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। দোকানের পাশের ভবনেই গুদাম। সেখানেই থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে তেলের বোতল। গুদামটিতে পাওয়া গেছে মোট ৮০০ লিটার তেল।
রাজশাহী নগরীর হাদির মোড় এলাকার মুদি দোকানি মো. জুয়েল বিক্রি না করে লুকিয়ে মজুদ করে রেখেছিলেন বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল। গোপনে খবর পেয়ে তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (৬ মার্চ) দুপুরের এই অভিযানে গুদাম থেকে ৮০০ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ওই দোকানির ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে শাহাবুদ্দিন স্টোরের (জুয়েলের দোকান) গুদামে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ৮০০ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেছে। ওই দোকানি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছেন। এ কারণে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানার অর্থ আদায় করে মামলাটি নিস্পত্তি করা হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে মজুদ করা তেল খোলা বাজারে বিক্রি করবেন বলে ওই দোকানি মুচলেকা দিয়েছেন।
হাসান-আল-মারুফ আরও বলেন, রাজশাহী নগরীতে ভোজ্য তেলের ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ মজুদ গড়ে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করছেন। তথ্য পেলেই দ্রুত অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ সময় তথ্য দিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে সহায়তার আহ্বান জানান তিনি।