ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে চট্টগ্রামের মোট ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮২ পরিবারকে টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। রোববার (২০ মার্চ) চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশন এলাকা, ১৫টি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ১৫টি পৌরসভা এলাকায় একযোগে কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ৮৪ জন ডিলারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ড, ১৫ উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়ন, ১৫টি পৌরসভায় মোট ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮২ জনের কাছে টিসিবির পণ্য স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হবে। প্রতিজনকে প্রথম পর্যায়ে স্বল্পমূল্যে ২ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল দেওয়া হবে। প্রতি উপকারভোগীর জন্য দুই ধাপে পণ্য দেওয়া হবে।
চিনি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল নিতে ৪৬০ টাকা লাগবে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ১০টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণের কাজ শুরু করা হবে। পণ্য বিক্রয়ের সময় কেউ অনুপস্থিত থাকলে, উপস্থিত যারা থাকবেন তাদেরকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্যাকেজগুলো বিক্রয় করা হবে। বিতরণ কার্যক্রম আগামী ১০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।
টিসিবির কার্যক্রম পরিচালনায় জেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন কমিটি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ট্যাগ টিম জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। পণ্য সংরক্ষণ ও প্যাকেজিংয়ের জন্য টিসিবির আঞ্চলিক খাদ্য গুদামসহ উপজেলা পর্যায়ের ১৫টি গুদাম ব্যবহার করা হচ্ছে। টিসিবি থেকে প্রাপ্ত নমুনা অনুযায়ী প্যাকেট সংগ্রহ করা হয় এবং দুই কেজি করে পণ্য প্যাকেটজাত করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, খাদ্য গুদামে রাত-দিন দুই শিফটে শ্রমিক নিয়োগ করে পণ্য বিতরণের লক্ষ্যে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। প্যাকেজিং প্রক্রিয়া যথাযথ ও স্বচ্ছ হচ্ছে কি না নগরীতে সেটা মনিটরিং করবেন ছয়জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেটা তদারক করবেন।
রোববার থেকে স্বল্পমূল্যে টিসিবি পণ্য দিতে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকৃত কার্ডধারীরা যেনো ভোগান্তি ছাড়াই পণ্য পেতে পারে সেই লক্ষে মনিটরিং ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।