ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: খাবারের দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিত্যপণ্যের দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বুধবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচালিত এ অভিযানে ১ লাখ ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানে অঞ্চল ৫ এর আওতাধীন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কারওয়ান বাজার এলাকায় উচ্ছেদ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ। এ সময় তিনি অভিযানে বিভিন্ন ধারায় ১০টি মামলায় মোট ৪১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অঞ্চল-৪ (মিরপুর-১০) ১৪নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলী। তিনি প্রায় ৩৭টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করেন। এ সময় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্যর বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে ২টি হোটেলকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল ৯ এর আওতাধীন নতুন বাজার, ভাটার এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী জিয়াউল বাসেত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসয় রাস্তার উপরে থাকা ১০টি ফলের দোকান অপসারণ করা হয়। বাজার মনিটরিং করে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন ওয়ার্ড নং ০৩ মিরপুর মডেল থানা এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান। তিনি ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে হোটেল, রেস্তোরাঁয় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪টি মামলায় মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অঞ্চল-১, ওয়ার্ড নম্বর ১ এর আজমপুর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়েক। এছাড়াও ওয়ার্ড-১৭ এর খিলক্ষেত উত্তর নামাপাড়া এলাকায় ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপস শীল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ৩০০মিটার রাস্তা দখলমুক্ত করা হয়।