দেশের একমাত্র চারদেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় সরকারি নির্দেশনা না মানার দায়ে বাংলাবান্ধায় দুই সিএন্ডএফকে অর্থদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই সিএন্ডএফ প্রতিনিধিকে ৯০,০০০/- (নব্বই হাজার) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ চন্দ্র সাহা।
বন্দর সুত্রে জানা গেছে, চলমান করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমন রোধকল্পে সার্বিক চলাচলে বিধি নিষেধকালীন সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) অনুযায়ী স্থলবন্দর দিয়ে বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সোমবার (১৯ জুলাই) বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৪৪টি আমদানীকৃত পণ্যবাহী বিদেশী ট্রাক দিনের মধ্যে পণ্য খালাস পূর্বক ভারতে ফেরত না পাঠিয়ে অবস্থান করে রাখার দায়ে সিএন্ডএফ মেসার্স রেজাউল করিম এন্টার প্রাইজকে ১৫ হাজার এবং মেসার্স প্রহর ইন্টারন্যাশনালকে ৭৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এর আগে করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হতে করোনা ভাইরাসের সংক্রামক জীবানুর বিস্তার ঘটার সমূহ সম্ভাবনা থাকায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কেপিআই এলাকায় অবস্থিত বিদেশী পণ্যবাহী ট্রাক খালাস করতে সিএন্ডএফ এজেন্ট/প্রতিনিধিদেরকে নোটিশের মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
কিন্তু সিএন্ডএফ প্রতিনিধিগণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস ও ট্রাক সমূহ ভারতে ফেরত পাঠাথে ব্যর্থ হওয়ার কারণে এ দন্ড প্রদান করা হয়।
সেই সাথে পবিত্র ঈদ উল আযহার ছুটি থাকায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত পূর্বক বিদেশী ট্রাক চালকগণকে বন্দর ইয়ার্ডের নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান নিশ্চিত করত: আগামী ০৩ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন।