নওগাঁর মান্দায় মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ভোক্তা অধিকার আইনে এক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁর কার্যালয়ে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ জরিমানা গুনতে হয় ব্যবসায়ীকে। একই সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে ভোক্তার নিকট থেকে হাতিয়ে নেওয়া ৪২ হাজার ৫০০ টাকাও ফেরত দেন দোকানি পরেশ চন্দ্র।
ব্যবসায়ী পরেশ চন্দ্র প্রামানিক উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের বাংড়া গ্রামের উপেন্দ্রনাথ চন্দ্র প্রামানিকের ছেলে। সাবাই বাজারে মেসার্স লাবণী ট্রেডার্স নামে তার রড-সিমেন্টের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। অন্যদিকে, ভোক্তা বকুল একই ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
ভোক্তা বকুল জানান, বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য মেসার্স লাবণী ট্রেডার্সের মালিক পরেশ চন্দ্র প্রামানিকের নিকট থেকে অগ্রিম টাকা পরিশোধের মাধ্যমে ৫ হাজার ৮৮৭ কেজি রড ও ৪৩০ বস্তা সিমেন্ট ক্রয় করি। কিন্তু দোকান মালিক প্রতিশ্রুত পণ্য সরবরাহ না করে নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহ করেন এবং বাড়তি টাকা নেন।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরেশ চন্দ্রের সঙ্গে আলোচলা করে সুরাহা না হওয়ায় ভোক্তা অধিদপ্তরের নওগাঁ শাখায় অভিযোগ করি। প্রতারণার মাধ্যমে আমার কাছ থেকে যে ৪২ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল, দুদফা শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার তা ফেরত পেলাম।
তিনি আরও বলেন, বিধি অনুযায়ী জরিমানার ১০ হাজার টাকার মধ্যে অভিযোগকারী বকুল হোসেন পেয়েছেন ২৫ শতাংশ।ব্যবসায়ী পরেশ চন্দ্র প্রামানিক বলেন, আমি আসলে ভুলই করে ফেলেছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর কোনোদিন হবে না। পরে জরিমানার ১০ হাজার ও ভোক্তার ৪২ হাজার ৫০০ টাকা তাৎক্ষণিক প্রদান করেন তিনি।
আরও পড়ুন : ভোগান্তিতে ফেলানোই যেন রেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিসের কাজ – VoktaKantho.com