ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: রাজধানীর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের ভোজ্যতেলের বাজারে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে চারটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর।
রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে অভিযান পরিচালনায় ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এবং সহকারী পরিচালক মো. আ. জব্বার মন্ডল, ফাহমিনা আক্তার, মাসদুর রহমান।
উন্মুক্ত স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, সরকার নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা বেশি দামে সয়াবিন-পাম অয়েল বিক্রি করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে।
সরেজমিন জানা যায়, অভিযানে ধারা ৪০ অনুযায়ী মুসলিম স্টোরকে ৫০ হাজার টাকা, ধারা ৩৮ অনুযায়ী জব্বার স্টোরকে ৫০ হাজার টাকা, ধারা ৪০ অনুযায়ী মুসলিম অ্যান্ড ব্রাদার্সকে ১০ হাজার টাকা, ধারা ৩৮ অনুযায়ী ঢাকা ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, মৌলভীবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আজ প্রতি লিটার তেল ১৪৩ বা ১৪৭ বা ১৫৭ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। সরকার দেওয়া নির্দেশনা হচ্ছে প্রতি লিটার সয়াবিন ১৪৩ টাকা, আর পামঅয়েল ১৩৩ টাকা। নির্দেশনা না মানায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আজ কোনো দোকান বন্ধ করছি না, বাজার বাজারের মতো চলবে। সরকার গণমানুষের জন্য কাজ করে। এসও ব্যবসায়ী আর মিল কর্তৃপক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করে। তেল কারা (পাইকারি, এসও ব্যবসায়ী, মিল কর্তৃপক্ষ) ধরে রেখেছে সে বিষয়ে একটি চিত্র আমরা বের করার চেষ্টা করছি, মিডিয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আমরা তা জাতির সামনে তুলে ধরবো।
বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী মো. জামাল বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমার সব মিল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন, কেন তেলের দাম বাড়ছে? আমাদের মতো ছোট দোকানদার ধরলে হবে না। মিল মালিকদের কেন ধরছে না?
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সৈয়দ মো. বশির উদ্দিন বলেন, সরবরাহ ঠিক থাকলে মার্কেট ঠিক থাকবে। মিল থেকে মাল নিয়মিত ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে না। ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি ঠিক থাকলে বাজারে মালের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন বড় বড় মার্কেটগুলোতে যদি কোটা সিস্টেম করে সমিতির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদেরকে দাম ফিক্সড করে দেওয়া হয় তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।