স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট
বাগেরহাটে নোংরা পানি সরবরাহ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়া লোগো ব্যবহারের অপরাধে পানি উৎপাদনকারী চারটি প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের পৃথক তিনটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী এই অর্থদন্ডাদেশ দেন।
একই সঙ্গে আগামীতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিএসটিআই এর অনুমোদন গ্রহণ ও যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ করে পানি উৎপাদনের জন্য বলা হয়।
র্যাব-০৬ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. এম নাজিউর রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি খুলনার ফিল্ড অফিসার মোঃ রাকিবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
অর্থদন্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান চারটি হলো, বাগেরহাট শহরের দাসপাড়া এলাকার খানজাহান আলী ড্রিংকিং ওয়াটার, বাসাবাটি এলাকার প্রজাপতি ড্রিংকিং ওয়াটার এবং নাগেরবাজার এলাকার মিঠাপানি লিমিটেড ও বারাকাহ (এমএন ড্রিংকিং ওয়াটার)।
এর মধ্যে অনুমোদন ছাড়া পানি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত খানজাহান আলী ড্রিংকিং ওয়াটার ও মিঠাপানি লিমিটেডকে ৩০ হাজার টাকা করে এবং প্রজাপতি ড্রিংকিং ওয়াটার ও বারাকাহ (এমএন ড্রিংকিং ওয়াটার) পানিকে ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলো ২০ লিটারের জারে করে খাবার পানি বিক্রি করে। সাপ্লাইয়ের পানি পান যোগ্য না হওয়াতে শহরের অধিকাংশ মানুষ এই পানি ক্রয় করে পান করে থাকেন।
র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাটের চারটি পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে অভিযান করা হয়। অনুমোদন ছাড়া পানি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের দায়ে চারটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
সামনের দিনগুলো ভেজার বিরোধী অভিযানের পাশাপাশি যারা অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।
এর আগের দিন বুধবার বাগেরহাটে বেকারি ও মিষ্টি তৈরির কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও বিএসটিআইয়ের ভুয়া লোগো ব্যবহারের অপরাধে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
প্রসঙ্গত: বাগেরহাট ক্যাবের পক্ষ থেকে খাদ্যে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কাছে একাধিক বার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।