ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: বাড়তি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা গুনলেন রাজশাহীর তিন বিক্রেতা। সোমবার (৭ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই দণ্ড দেন।
অভিযানে নগরীর রাণীবাজার এলাকার পাইকারি বিক্রেতা আলী ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার টাকা, খুচরা বিক্রেতা চামড়াপট্টি এলাকার আয়েন এন্টার প্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা এবং বন্ধগেট এলাকায় খন্দকার স্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৮ টাকা। মূল্য তালিকায় সেই দাম উল্লেখ করেছে বন্ধগেট এলাকায় খন্দকার স্টোর। কিন্তু লিটারে ১৭ টাকা বাড়িয়ে ১৮৫ টাকা আদায় করছিলেন দোকানি মাসুদ করিম। এই ঘটনায় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই কাণ্ড ঘটিয়েছে নগরীর চামড়াপট্টি এলাকার আয়েন এন্টার প্রাইজ। তবে এই প্রতিষ্ঠানটি ‘সাদ’ ব্র্যান্ডের এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করছিল ১৮৫ টাকায়। বিক্রির জন্য কিছু তেল মজুদও করেছিল। এই কাণ্ডে দোকানি এন্তাজ আলীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেখান থেকে জব্দ করা হয়েছে ৩৩ লিটার বোতলজাত তেল।
বাড়তি মূল্যের এসব তেলের পরিবেশক নগরীর রাণীবাজার এলাকার আলী ট্রেডার্স। খুচরা বিক্রেতা এন্তাজ আলীর তথ্যের ভিত্তিতে সেখানেও অভিযান চালানো হয়। সেখানে মোড়কে বাতড়ি মূল্য লেখা এক লিটারের ১৯২ বোতল সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মোখলেসুর রহমান জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেন।
হাসান-আল-মারুফ আরও বলেন, রাজশাহী নগরীতে ভোজ্যতেলের ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ মজুত গড়ে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করছেন। তথ্য পেলেই দ্রুত অভিযান চালিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ সময় তথ্য দিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে সহায়তার আহ্বান জানান তিনি।