ভেজাল ওষুধ ও কয়েল কারখানায় ডিবির অভিযান

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: রংপুরে ইকো ল্যাবরেটরিজ, ইউনানি ফ্যাক্টরি ও ভরসা মশার কয়েল ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়েছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এ সময় বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারাসহ অনুমোদন ছাড়াই পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের অপরাধে কারখানা দুটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড মিডিয়া) মো. সাজ্জাদ হোসেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনুকা ভৌমিক। এ সময় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রংপুরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে নগরীর তাজহাট থানাধীন ইকো ল্যাবরেটরিজ ইউনানি ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। অভিযানকালে ইউনানি ফ্যাক্টরির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে সরবরাহ করা কোনো ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি। কারখানায় অনুমোদনহীনভাবে কিছুসংখ্যক ওষুধ প্রস্তুত করা ছাড়াও ওষুধ তৈরির কাঁচামাল সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি এবং শ্রমিকদের পরনে মাস্ক, গ্লোভস, অ্যাপ্রোনসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ছিল না।

এসব অপরাধের দায়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর রংপুরের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনুকা ভৌমিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ওই কারখানার মালিক মশিউর রহমান শাহীনকে দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একই সাথে ত্রুটি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত কারখানাটির সকল কার্যক্রম ও উৎপাদন বন্ধ রাখার আদেশ দেওয়া হয়।

অপর অভিযানে ভরসা মশার কয়েল ফ্যাক্টরির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ডিবি পুলিশ। এ সময় কারখানাটিতে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র না থাকা, অনুমোদনবিহীন পণ্য প্রস্তুত করা, পণ্য তৈরির কাঁচামাল সঠিক প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ না করাসহ শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী না থাকার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সোহেল রানাকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সেই সাথে ত্রুটি সংশোধনপূর্বক ফ্যাক্টরিটির সকল কার্যক্রম ও উৎপাদন বন্ধ করার আদেশ দেন।

সকল ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে মহানগর পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) মো. সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, সবাইকে এসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের মানের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্য সম্মত ও নিরাপদ পণ্য উৎপাদনে কারখানার মালিক ও শ্রমিকদেরকে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।