ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: রংপুর বিভাগের তিন জেলায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিভাগের কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলায় এই অভিযান পরিচালনা করেছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান রংপুর বিভাগীয় বিএসটিআই অফিসের উপপরিচালক (পদার্থ) প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খাদ্যদ্রব্য ও পণ্যসামগ্রীতে ভেজাল রোধ এবং সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিএসটিআইর নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
অভিযানে কুড়িগ্রাম জেলা সদরের মেসার্স জান্নাত ফুড অ্যান্ড বেকারি উৎপাদিত বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের মান যাচাই ব্যতিত লাচ্ছা সেমাই উৎপাদন ও বিক্রয় বিতরণ করার অপরাধে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত তামান্না। এ সময় তার সঙ্গে বিএসটিআই রংপুর বিভাগীয় প্রসিকিউটিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ফিল্ড অফিসার (সিএম) দেলোয়ার হোসেন।
এ ছাড়া দিনাজপুর সদরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মেসার্স এম সরকার ফিলিং স্টেশনেসর পেট্রোল ইউনিট প্রতি ১০ লিটারে ১২০ মি.লি. ও ডিজেল ইউনিট প্রতি ১০ লিটারে ৫০ মি.লি. কম দেওয়ার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই জেলা সদরে রোলেক্স বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই উৎপাদন করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এই অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। সেখানে প্রসিকিউটিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই ফিল্ড অফিসার মেসবাহ-উল-হাসান ও পরিদর্শক মিঠুন কবিরাজ।
অপরদিকে, নীলফামারী জেলা সদরে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে র্যাব-১৩ ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে মেসার্স মুক্তা ফিলিং স্টেশন, মেসার্স দেওয়ান ফিলিং স্টেশন ও মেসার্স রশিদা ফিলিং স্টেশনের পেট্রোল পাম্পে জ্বালানী তেল সরবরাহের সময় পরিমাপে সঠিক পাওয়া যায়।
এ ছাড়া সদরের ৬টি মুদিখানা দোকান, ২টি কনফেকশনারি ও ২টি খাবার হোটেলে ব্যবহৃত ওজন যন্ত্রসমূহ পরিদর্শনকালে পরিমাপে সঠিক পাওয়া যায়। এই অভিযানে প্রসিকিউটিং কর্মকর্তা ছিলেন বিএসটিআই সহকারী পরিচালক (মেট্রোলজি) অনিমেষ মজুমদার।
জনস্বার্থে প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় বিএসটিআইর এ ধরনের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিভাগীয় বিএসটিআই অফিসের উপপরিচালক (পদার্থ) প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ।