ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ঈদের আগে হঠাৎ বাজার থেকে ‘উধাও’ হয়ে যায় সয়াবিন তেল। অতিরিক্ত দাম দিয়েও তেল কিনতে পারছিলেন না ভোক্তারা। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী, বনানী, তেজকুনীপাড়াসহ বড় বাজারগুলোতে সয়াবিন তেলের সংকট ছিল। দু-একটি দোকানে তেল পাওয়া গেলেও তা ছিল চাহিদার তুলনায় একেবারে অপ্রতুল।
খুচরা বিক্রেতারা দাবি করছিলেন, কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না। তবে তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল, খুচরা বিক্রেতারা তেল মজুত করছেন। ঈদের পর তেলের দাম বাড়তে পারে, সেজন্য বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন তারা।
খুচরা-পাইকারি বিক্রেতা ও কোম্পানিগুলোর পাল্টাপাল্টি অভিযোগে ক্রেতারা মনে করছিলেন, ঈদের পর তেলের দাম বাড়বে। তখন হয়তো বাড়তি দামে তেল কিনতে হলেও বাজারে সংকট থাকবে না। তবে ঈদের পরও বাজারে সয়াবিন তেলের সেই সংকট কাটেনি।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) মহাখালী, বিএনপি বাজার, কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখনো সয়াবিন তেলের সংকট চলমান। তবে রাইস ব্র্যান্ড ও সানফ্লাওয়ারের তেল পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলোর দামও দ্বিগুণ। ৫ লিটারের বোতলজাত সানফ্লাওয়ারের দাম ১ হাজার ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। আর পাঁচ লিটারের রাইস ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯৬৫ টাকায়।
এদিকে বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে মিলমালিকদের বৈঠকের পর সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৮ ও খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে। এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮৫ টাকা। একই সঙ্গে প্রতি লিটার পাম অয়েল বিক্রি হবে ১৭২ টাকায়।