নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ব্যস্ততম মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে স্ট্রিট ফুডের ব্যবসা।শহরের রেলঘুন্টি মোড়ে সন্ধ্যা নামতেই বসে ভ্রাম্যমাণ বাহারি ফাস্ট ফুডের দোকান। বিপদজনক জেনেও এসব দোকানগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে খাবার প্রিয় মানুষের সংখ্যা।
জানা যায়, প্রজন্মের সান্ধ্যকালীন আড্ডাস্থল এ রেলঘুন্টি মোড়। ফার্স্টফুডের জন্যই তারা এখন বেছে নিচ্ছেন সড়কের পাশের ভাসমান অস্থায়ী দোকানগুলো।
সৈয়দপুর রেলওয়ে মাঠের পাশে পোস্ট অফিস ঘেষেই সড়কের ধারে সন্ধ্যার পর চোখে পড়ে স্ট্রিট ফুডের বাহারি ভ্রাম্যমাণ দোকান। কেউ দাঁড়িয়ে কেউবা বসে খাবার খাচ্ছেন, কেউবা আবার অপেক্ষায়। কি নেই এসব স্ট্রিট ফুডশপে!
এছাড়া কম দামে পাওয়া যায় বলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ক্রেতা। মুরগির শিক কাবাব ৫০ টাকা, চিকেন ফ্রাই ৬০ টাকা, স্টু ৪০ টাকা, গরুর শিক কাবাব ৪০ টাকা, জলি কাবাব ১০ টাকা, বার্গার ২৫ টাকা, টিকিয়া ১০ টাকা, এছাড়া বাহারি সব খাবার মেলে স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলোতে।
তানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। বন্ধু বান্ধব নিয়ে এসেছেন মুখরোচক এসব খাবারের স্বাদ নিতে। তিনি বলেন, অন্যান্য জায়গার তুলনায় এখানে কম দামে এসব খাবার পাওয়া যায়।
দোকানদার ওসমান গনি জানান, প্রতিদিন বিকেল ৫ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। করোনাকলে বেশ কয়েকমাস ব্যবসা মন্দ ছিল। এখন আবার ফিরতে শুরু করেছে। এখন চারজন স্টাফ নিয়ে ভালোই চলছে তার ভাসমান স্ট্রিট ফুড ব্যবসা। খাবার পণ্য ক্রয় ও স্টাফদের হাজিরা দিয়ে ১৫শো’ টাকার মত আয় হয়।
দোকানদার নাদিম বলেন, আমাদের এখানে মধ্যবয়সী ক্রেতা বেশি। এছাড়া প্রোডাক্ট অনুযায়ী স্টুডেন্টরা বেশি আসে।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার জানান, ফুটপাতের এসব খাবার খোলামেলা থাকায় আর একই তেলে বারবার ভাজায় খাবারগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
তাছাড়া ফাস্টফুডের কৃত্রিম ও ক্ষতিকর উপাদান শরীরে অক্সিডাইড রেডিক্যাল ছড়িয়ে দেয়, এতে করে শরীর মোটা হয়ে যায়। এ অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে।
এছাড়া এসব ফুড খাওয়ার কারণে কোলেস্টরল বাড়ে, যা ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনে ভোগা রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।