ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নে নতুন ভোটারদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে জাতীয় স্মার্টকার্ড বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নাসির মোহাম্মদ সেলিমের দাবি, স্মার্টকার্ডের জন্য নয়, সনদপত্র কম্পিউটারে টাইপ এবং প্রিন্ট বাবদ এ টাকা নেয়া হচ্ছে ।
জাগো নিউজের মাধ্যমে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) থেকে ময়না ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জাতীয় স্মার্টকার্ড বিতরণ চলছে। তবে কার্ড গ্রহণকারীদের অভিযোগ, যাদের নতুন হালনাগাদকৃত কার্ডের রশিদ নেই, তাদের কার্ড পাওয়ার জন্য টাকা দিতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে জানান, রশিদ না থাকায় বিতরণকারীরা ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কর্তৃক সনদপত্র আনতে বলেন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে নাসির মো. সেলিমের অনুপস্থিতিতে সনদপত্র নিতে গেলে ইউনিয়ন পরিষদে কর্তব্যরত উদ্যোক্তা মো. সিরাজুল ইসলাম এবং চেয়ারম্যানের ভাতিজা জাহির মোল্যা প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আদায় করছেন। এছাড়া চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে তার ভাতিজা জাহির নিজেই চেয়ারম্যানের জাল স্বাক্ষরিত সনদপত্র প্রদান করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কমিশনার এবিএম আজমল হোসেন বলেন, ‘স্বচ্ছতার সঙ্গে স্মার্টকার্ড বিতরণের জন্য আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। যাদের টোকেন রশিদ হারিয়ে গেছে সেসব ভোটারদের কার্ড বিতরণের প্রমাণপত্র হিসেবে চেয়ারম্যান কর্তৃক সনদপত্র আনতে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অর্থ নেয়ার অভিযোগ পেয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, দরখাস্ত টাইপিং ও প্রিন্ট কপি বের করতে উদ্যোক্তা ৫০ টাকা করে নিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নিবন্ধিত নতুন ভোটার এবং যাদের জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি তাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) বিতরণ করা হচ্ছে।