ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: গত দু’দিনে খুলনা মহানগরীর পাইকারি মোকামগুলোতে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ। ফলে দাম কমতে শুরু করেছে ইলিশের।
দুই হাজার ৫০০ টাকার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০০ টাকায়, এক হাজার ২০০ টাকার ইলিশ মিলছে ৮০০ টাকায়। এক সপ্তাহের মধ্যে এ দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নগরীর ৫ নম্বর মাছ ঘাট ও রূপসা পাইকারি মৎস্য বাজার সূত্র জানায়, সংরক্ষণের জন্য মে মাসের ২০ তারিখ রাত ১২টা থেকে ইলিশ ধরা বন্ধ হয়ে যায়। ৬৫ দিন পর ২৩ জুলাই আবারও শুরু হয়। অনুমতি পাওয়ার পর জেলেরা বরিশালসহ গভীর সমুদ্রে ইলিশ শিকারে ছুটে গেছেন। জেলেদের জালে বিভিন্ন সাইজের মাছও ধরা পড়ছে। সমুদ্র থেকে আসা ট্রলার থেকে আড়তগুলো আসতে শুরু করেছে ইলিশ। হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে।
ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা শাফায়েত বলেন, এ বাজারে খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ আসে। তবে নিষেধাজ্ঞার করণে ইলিশের সরবরাহ একেবারেই ছিল না। নিষেধাজ্ঞার পর আজ সবচেয়ে বেশি ইলিশ মাছ এসেছে এ বাজারে।
তিনি বলেন, এক কেজি সাইজের মাছ ১০ দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১৫০০-১৮০০ টাকায়। আজ সেই মাছের দাম হাজার টাকায় নেমে এসেছে। মাছের সরবরাহ যদি আরও বৃদ্ধি পায় তাহলে দাম আরও কমে যাবে।
রূপসা পাইকারি মাছ বাজারের বিক্রেতা জেলে হারুনার রশীদ বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর বরিশাল থেকে ১৭টি বোট সাগরে যায় মাছ ধরতে। সমুদ্রে জাল ফেলে বিভিন্ন আকৃতির মাছ ধরেছেন তারা। জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। ২-১ দিরে মধ্যে এ মাছ বাজারে এসে যাবে। তখন ইলিশের দাম অনেক কমে যাবে।
এ বাজারের শহিদুল খালাসী বলেন, বাজারে ৫ টন ইলিশ মাছ এসেছে। সরবরাহ বেশি হওয়ায় খুচরা মাছ বিক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। গত দু’দিনের তুলনায় ইলিশের আমদানি এ বাজারে ব্যাপক হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মণপ্রতি ২৬-২৭ হাজার টাকা, ৬০০-৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি করেছেন ২৮-৩০ হাজার টাকা। এক কেজি ওজনের মণ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ হাজার টাকায়। তবে ইলিশের সরবরাহ বেশি হলে দাম আরও কমতে পারে।
খুলনায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের বিক্রয় পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর প্রথম দিনে কম হলেও গত দুদিন ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে ব্যাপক। কমতে শুরু করেছে ইলিশের দাম। ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে জানতে পারি সমুদ্রে ব্যাপক পরিমাণ মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে।