ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: নিষেধাজ্ঞা না থাকায় মুন্সিগঞ্জের পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। ফলে জেলার বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে তিন-চারগুণ। সেইসঙ্গে কমেছে দাম।
জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল, দিঘিরপাড় ও লৌহজং উপজেলার মাওয়া মাছ আড়তগুলো এখন ইলিশে সয়লাব। হাসাইল বাজারের আনোয়ার হাওলাদারের ম্যৎস্য আড়তের ক্যাশিয়ার আপন মাহমুদ বলেন, দিন যত যাচ্ছে আড়তে ততই ইলিশ বাড়ছে। অন্যান্য বছর এ সময় তেমন ইলিশ উঠত না। অথচ এ বছর আড়ত ইলিশে ভরপুর। দামও কাম। অন্যান্য বছর এক হালি ইলিশ ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এবার তা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, সোয়া থেকে দেড় কেজি আকারের ইলিশ আগে প্রতি কেজি বিক্রি হতো ১৫০০-১৬০০ টাকায়। এখন সেই ইলিশ ১০০০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকৃতির ৬০০-৯০০ গ্রামের ইলিশ আগে ১ হাজার ৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হতো। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়।
মাওয়া মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে ইলিশের আহরণ বেড়েছে। তবে প্রতিদিন কী পরিমাণ ইলিশ মাওয়ার ৩২টি আড়তে বেচাকেনা হচ্ছে তার কোনো পরিসংখ্যান রাখা হয় না। তবে এখন সব ধরনের মাছ মিলে প্রতিদিন প্রায় সোয়া কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হচ্ছে।
জেলে বাবুল মিয়া বলেন, আমরা শরীয়তপুর এলাকার পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকার করি। নদীতে এখন ছোট-বড় সব আকারের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামশুল করিম বলেন, ১ মার্চ থেকে দেশের ছয় জেলার পাঁচটি অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ইলিশের ঝাঁক দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তর দিকের নদীগুলোতে আসতে শুরু করেছে। সাগরের কাছাকাছি পদ্মা নদীতে মাছ ধরা ও জাল ফেলা নিষেধ আছে। এ কারণে মুন্সিগঞ্জে ইলিশের আহরণ বেড়েছে তিনগুণ।
তিনি আরও জানান, ২০২০ মৌসুমে পুরো জেলায় ইলিশ আহরিত হয়েছিল ২ হাজার ৭২ মেট্রিক টন। জাটকা মাছ ধরা বন্ধ হলে এবার মাছ আরও বাড়বে। তাই জেলেদের স্বার্থেই ২৫ সেন্টিমিটারের নিচে জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে।