ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ঘোষণা দিয়ে এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও সাতক্ষীরায় লোডশেডিং হচ্ছে কয়েক ঘণ্টা করে। রাতে এই লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। বিদ্যুত বিভাগ জানিয়েছে, ঘাটতি বেশি হওয়ার কারণে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বাড়াতে হচ্ছে।
সাতক্ষীরা তালা সদরের শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক খান বলেন, পল্লী বিদ্যুত অফিস থেকে ঘোষণা দিয়েছে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে। তবে সেটা তারা মানছে না। রাতে ৪-৫ বার বিদ্যুত বন্ধ হয়েছিল। প্রতিবারই এক ঘণ্টার বেশি বিদ্যুত বন্ধ রাখা হয়েছে। একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে মশার অত্যাচার। রাতে ঘুমাতে পারিনি। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে ৪-৫ ঘণ্টা।
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জানান, এখন বিদ্যুতের একটু ঘাটতি রয়েছে। সে কারণে ঘোষিত এক ঘণ্টার চেয়ে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে।
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুত সমিতির কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, তাদের আওতায় ৫ লাখ ৯৩ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এসব গ্রাহকের দৈনিক বিদ্যুত চাহিদা রয়েছে ১২২ মেগাওয়াট। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় ১৭-১৮ % বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে।
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জানান, এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও বিদ্যুতের ঘাটতি বেশি। সে কারণে ঘোষিত এক ঘণ্টার চেয়ে লোডশেডিং হচ্ছে বেশি। আমরা যেমন বিদ্যুত পাচ্ছি, তেমন সরবরাহ করছি।
অন্যদিকে, সাতক্ষীরা শহরে ওজোপাডিকোর গ্রাহক রয়েছে ৫২ হাজার। সেখানে চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুত। এখানে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে তিন মেগাওয়াট।
সাতক্ষীরা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক জানান, আমাদের লোডশেডিং কম রয়েছে। এক ঘন্টার স্থানে আমরা ৪০ মিনিট করে বিদ্যুত বন্ধ রাখছি। চাহিদার তুলনায় তিন মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। যেমন বরাদ্দ পাচ্ছি তেমনই সরবরাহ করা হচ্ছে।