মোঃ আহসান উল হক তুহিন: রংপুর নগরীর আলমনগর এলাকার ২১ ও ২৭ নং ওয়ার্ডে খাদ্য অধিদফতরের আওতাধীন দরিদ্রের জন্য পরিচালিত ওএমএস কার্যক্রমের চারটি ডিলার পয়েন্টে তদারকি চালায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর জেলা কার্যালয়।
মঙ্গলবার দুপুরে চারটি পয়েন্টের মধ্যে ২৭ নং ওয়ার্ডের খামার পাড়ায় অবস্থিত ‘মেসার্স কানন এন্টারপ্রাইজ’ এবং পীরপুরে অবস্থিত ‘নাছরিন ট্রেডার্স’ খোলা পাওয়া যায়। ২৭ নং ওয়ার্ডের কলোনিতে অবস্থিত ডিলার পয়েন্ট এবং ২১ নং ওয়ার্ডের আদর্শ পাড়ায় অবস্থিত ডিলার পয়েন্ট বন্ধ ছিল।
অভিযান চলাকালে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে খামার পাড়ার মেসার্স ‘কানন এন্টারপ্রাইজে’ পাঁচ কেজি আটা দেয়ার কথা থাকলেও সেখানে বাস্তবে তিন কেজি করে আটা দেয়া হচ্ছিল এবং খাতায় পাঁচ কেজি পরিমাণ লিখা হচ্ছিল।
অপরদিকে, পীরপুরের ‘নাছরিন ট্রেডার্স’ এ পাওয়া যায় ওজনে কারচুপি। সেখানে সাধারণ ভোক্তাদের কাছে তিন কেজি আটার দাম নেয়া হলেও বাস্তবে আটা দেয়া হচ্ছিল দুই কেজি ৭৪০ গ্ৰাম অর্থাৎ প্রতি তিন কেজিতে ২৬০ গ্ৰাম আটা কম দেয়া হচ্ছিল। যার সঠিক ব্যাখ্যা ডিলারের প্রতিনিধি দিতে সক্ষম না হলে অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন ওই প্রতিষ্ঠানকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে এ রকম দুর্নীতি থেকে বিরত থাকার জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।
আফসানা পারভীন বলেন, ওএমএসের পণ্য বিক্রয়ে যেকোনো অনিয়ম ও দুর্নীতিরোধে সরকার বদ্ধপরিকর।
অভিযানে সহায়তা করে ক্যাব রংপুর ও মেট্রোপলিটন পুলিশ।