ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সিলেটে কাঠ, ধান ও চালের গুঁড়ার সঙ্গে নিম্নমানের রং মিশিয়ে বিক্রি জন্য তৈরি করা হচ্ছিল মরিচ, হলুদ ও ধনিয়া গুঁড়া। মসলায় ভেজাল মেশানোর অপরাধে একটি কারখানাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারে ‘ঝর্ণা মসলা মিল’ নামের ওই মসলা তৈরির কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান চালানো হয়।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করে র্যাব-৯ এর একটি টহল দল।
ভোক্তা অধিদপ্তর ও র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পেছনের ডোবায় নেমে কারখানাটির বেশিরভাগ শ্রমিক সাঁতরে পালিয়ে গেলেও ধরা পড়েন ফজলুল হক নামের একজন।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে মসলায় ভেজাল মেশানোর বিষয়টি স্বীকার করেন শ্রমিক ফজলুল হক। পরে তার কাছ থেকে কারখানাটির মালিকের তথ্য নিয়ে কথা বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় কারখানা মালিক সিলেটের বাইরে আছেন জানিয়ে তার ভাইকে ঘটনাস্থলে পাঠান।
পরে কারখানার মালিকের ভাইয়ের উপস্থিতিতে কারখানাটিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ কারখানায় আর কোনো ভেজাল মসলা উৎপাদন করা হবে না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়।
অভিযান চলাকালে কারখানাটিতে ২০০ বস্তা ভেজাল মসলা ও ১২ ব্যাগ ক্ষতিকর রাসায়নিক রং পাওয়া যায়। এ সময় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সব মসলা ও রং ধ্বংস করা হয়।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম মাসুদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।