মোঃ আহসান উল হক তুহিন: রংপুরে অনিয়মের অভিযোগে ‘ক্যাপ্টেন ফুডস’ নামক প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর বিভিন্ন বাজার ও কারখানা তদারকির অংশ হিসেবে হনুমান তলায় অবস্থিত ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আজাহারুল ইসলাম (সিনিয়র সহকারী সচিব)।
তাকে দাপ্তরিক ভাবে সহায়তা করেন সহকারী পরিচালক মো. বোরহান উদ্দিন ও গবেষণাগার সহকারী মো. জাকারিয়া হোসেন।
অভিযান চলাকালে উৎপাদিত লাচ্ছা সেমাইয়ের প্যাকেটে সেমাই এর প্রকৃত ওজন ৫০০ গ্ৰাম লেখা থাকলেও শুধু সেমাই এর ওজন পাওয়া যায় ৪৪০ গ্ৰাম অর্থাৎ প্রতি প্যাকেটে ৬০ গ্ৰাম সেমাই কম দেয়া হচ্ছে। যার মূল্য প্রায় ২০ টাকা। এভাবে প্রতিনিয়ত ভোক্তা সাধারণ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এছাড়াও সেখানে মিষ্টান্ন সেকশনে বাসি শিরা, কেক সেকশনে ক্রিমের পরিবর্তে কাঁচা ডালডা, ফাষ্ট ফুড সেকশনে বাসি চিকেন চাপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা অবস্থায় পাওয়া যায়। এ রকম নানাবিধ অনিয়ম ও ভোক্তা অধিকার আইনের লঙ্ঘন জনিত অপরাধে দ্বিতীয় বারের মত শাস্তি স্বরুপ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
এই প্রতিষ্ঠানটিকে দুই বছর পূর্বে একই অপরাধে ৩০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেছিল ভোক্তা অধিদপ্তর।
এদিকে, রংপুর জেলা প্রশাসক বাসভবনের সামনে অবস্থিত হঠাৎ রেস্তোরাঁয় হঠাৎ করেই অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিদপ্তর। সে সময় ওই প্রতিষ্ঠানটি রেস্তোরাঁয় খাবার বিক্রি বন্ধ রেখে ইফতার বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত, সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের দায়ে ওই প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এক হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।
পরে উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ ও মাইকের সাহায্যে ভোক্তা-অধিকার আইন মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেন তারা।
অভিযানে সহায়তা করে ক্যাব রংপুর জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ রংপুর।