ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন কারখানায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও গ্যাস সংকটের কারণে চিনি উৎপাদন কমেছে বলে জানিয়েছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শনিবার দিনব্যাপী সোনারগাঁয়ের বৃহৎ তিনটি চিনি উৎপাদনকারী শিল্প কারখানায় উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা তদারকি করে ভোক্তা অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসানউজ্জামান জানান, ঠিক কতভাগ উৎপাদন কমেছে তার প্রকৃত তথ্য এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে কারখানাভেদে সক্ষমতার চেয়ে ৩০-৪৫ শতাংশ উৎপাদন কম হচ্ছে। কারখানাগুলোতে চিনির দাম নিয়ে কোন অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি। তবে গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।
এদিন সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ চিনি কারখানা, আব্দুল মোনায়েম গ্রুপের ইগলু চিনি কারখানা ও রূপগঞ্জের সিটি গ্রুপের তীর চিনির কারখানায় এ তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসানউজ্জামান ও ঢাকা বিভাগীয় সহকারী পরিচালক মাহফুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এ সময় তারা কারখানাগুলোতে চিনির উৎপাদন সক্ষমতা এবং প্রতিদিন কী পরিমাণ চিনি উৎপাদিত হচ্ছে, একইসঙ্গে প্রতিদিন মিল গেট থেকে কী পরিমাণ চিনি বাজারজাত হচ্ছে, এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন।
কারখানায় যে হারে চিনি উৎপাদন হচ্ছে একই হারে বাজারজাত হচ্ছে কি না এবং সরকার নির্ধারিত মিল রেট ও মোড়কে মুদ্রিত মূল্য ঠিক আছে কি না- এসব বিষয়ও খতিয়ে দেখে ভোক্তা অধিদপ্তর।