ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরীর মোমিন রোডের সাফরান রেস্টুরেন্ট, ব্লু ওশান রেস্টুরেন্ট, মোঘল দরবারসহ নগরীর বিভিন্ন খাবার প্রস্তুতকারক নয়টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেন।
কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সাফরানকে ২০ হাজার ব্লু ওশানকে পাঁচ হাজার, মোঘল দরবার, আলী হোটেলসহ আরও একটি হোটেল মালিককে জরিমানা করেন।
কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, উল্লেখিত সবকটি রেস্টুরেন্টের খাবার তৈরির পরিবেশ নোংরা পেয়েছি। এছাড়া সবাই পঁচা ও বাসি খাবার পরবর্তীতে পরিবেশনের জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছে। খাবারের স্বাদ বাড়াতে ক্ষতিকর প্রিজারভেটিভ ও বিষাক্ত রঙ রেখেছে। কেউ কেউ নর্দমার পাশে রান্নাঘর স্থাপন করেছে, রান্নায় ব্যবহার করছিল পোড়া তেল। সব মিলিয়ে অভিযানে নয় মামলায় এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অপর এক অভিযানে বাকলিয়া সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. এন. জামিউল হিকমার অভিযানে ঢাকা বেকারি ওয়ানকে ভোক্তা অধিকার আইন, ২০০৯ এর ৪২ ও ৫১ ধারা মতে ২০ হাজার টাকা, মারিয়া ফুড প্রোডাক্ট ও ঢাকা বেকারিকে বিএসটিআই আইন,২০১৮ এর ৩০ ধারা মতে ৪০ হাজার টাকাসহ মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন লালখান বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য, লাইসেন্সবিহীন পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে আদিয়াত ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে ১০ হাজার টাকা এবং অন্য এক মুদি দোকানকে পাঁচ হাজার টাকাসহ মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অভিযানে বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ক্যাব সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশ সহযোগিতা করে।
কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, সাধারণ জনগণের কথা বিবেচনা করে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।