চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ও হাসপাতালে স্যান্ডরের কিডনি ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধি বাতিলের দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। পাশাপাশি ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে অংশ নেওয়া রোগী ও তাদের স্বজনদের ওপর আইনশৃংখলা বাহিনীর হামলায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি।
বিপুলসংখ্যক কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আত্মঘাতি এবং প্রতিবাদকারীদের ওপর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হামলা ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করে অবিলম্বে এ ধরনের জঘন্য সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং হামলার মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির চট্টগ্রামের নেতারা।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (চমেক) এ কিডনি ডায়ালাইসিসের মূল্যবৃদ্ধি ও এর প্রতিবাদে অংশ নেওয়াদের ওপর হামলার ঘটনায় এক বিবৃতিতে নেতারা এসব দাবি জানান।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানোর এক বিবৃতিতে সই করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার, সহ-সভাপতি এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, কিডনি রোগীদের ডায়ালিসিস একটি মানবিক স্বাস্থ্যসেবা। কিডনি মানবদেহের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি বিকল হলে শরীর ফোলা, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি, দুর্বলতা, রক্তশূন্যতাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়।রোগীরা নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে না পারলে দ্রুত মৃত্যু হয়।
অনেক দরিদ্র রোগীদের পক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (চমেক) গিয়ে কিডনি ডায়ালিসিসের মূল্য পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। সেখানে কিডনি ডায়ালিসিসের মূল্য একলাফে কয়েক গুণ বৃদ্ধি করা কোনো সুস্থ ও শুভ বৃদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাজ হতে পারে না।
নেতারা ডায়ালিসিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ওপর আইনশৃংখলা বাহিনীর হামলাকে ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করে বলেন, জনগণের করের টাকায় তাদের বেতন-ভাতা হয়। আর একটি মানবিক দাবি জানাতে যদি তাদের ওপর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন চড়াও হয় তাহলে তার চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কিছু হতে পারে না।
চট্টগ্রাম মেডেকেল কলেজ ও হাসপাতালে কিডনি ডায়ালিসিস সেবার পরিধি বৃদ্ধির জন্য সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে মানবাধিকার ও মানবিক বিষয়ের ওপর শুন্য সহনশীলতা প্রদর্শনের দাবি জানানো হয়।
নেতারা কম খরচে ডায়ালিসিসের সুবিধা নিশ্চিতসহ রোগীদের প্রতি মানবিক আচরণ ও সত্যিকারের মানবিক সেবা নিশ্চিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।