ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: মাদারীপুরে ছোট ইট দিয়ে বড় ইটের দাম নেওয়া হয়েছে ভোক্তার দেওয়া এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এমআরকে ব্রিকসের মালিক রহিম খানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ জারিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস।
অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দুই সপ্তাহ আগে একজন ভোক্তা সদর উপজেলার পাঁচখোলা এলাকার এমআরকে ব্রিকস্ থেকে দুই হাজার ৫০০ ইট ক্রয় করেন। ইট ভাটা থেকে ভোক্তাকে যে ইট সরবারহ করা হয় তা সরকার নির্ধারিত পরিমাপের চেয়ে অনেক ছোট। ওই ভোক্তা ইট ক্রয় করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ তুলে ভোক্তা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে এমআরকে ইট ভাটার মালিক আব্দুর রহিম খান ও অভিযোগকারীকে অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে দুই দফা ডেকে শুনানি করা হয়। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ইট ভাটা মালিক আব্দুর রহিম খানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় তার ভাটায় ইটের পরিমাপ ঠিক রাখতে সর্তক করে দেওয়া হয়।
এ বিষয় অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, এমআরকে ব্রিকসের মালিক ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। তিনি সরকার নির্ধারিত ইটের পরিমাপ অমান্য করে ছোট করে ইট তৈরি করে বড় ইটের দাম নিতেন। এর ফলে যারা এমআরকে ভাটা থেকে ইট ক্রয় করতেন তারা সবাই প্রতারণার শিকার হতেন। একজন সচেতন ভোক্তা বিষয়টি লিখিত ভাবে আমাদের জানান। পরে আমরা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভাটার মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রথমবারের মত সর্তক করেছি।
তিনি আরও বলেন, জরিমানা করার পরে ভাটার মালিক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি জরিমানা দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে জেলার বণিক সমিতির নেতাও কার্যালয়ে আসেন। পরে ভাটার মালিককে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে নিয়ম অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আমরা মামলা করবো।