ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: টাংগাইলের জয়কালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়। মঙ্গলবার সদর উপজেলার ওই প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে সালিক রুমাইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানের সময় প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফায়ার লাইসেন্স, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ, পেস্ট কন্ট্রোলের কাগজ, পানি পরীক্ষার প্রয়োজনী কাগজপত্র এবং আরও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়। প্রতিষ্ঠানটির ভেতরের পরিবেশ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পাওয়া যায় এবং প্রচুর পরিমাণে লেবেলবিহীন পণ্য পাওয়া যায়। একইসঙ্গে সব ধরনের মিষ্টান্ন খোলা অবস্থায় রাখতে দেখা যায়। এখানে অপ্রাপ্তবয়স্ক কর্মচারীদের দিয়ে কাজ করাতেও দেখা যায়। এ সকল অপরাধের জন্য নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং তাৎক্ষণিক ভাবে তা আদায় করা হয়।
লেবেলবিহীন ঘি বিক্রয় করতে দেখা যাওয়ায় জয়কালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ম্যানেজার জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর করার পরও প্রতিষ্ঠানটির মালিক ল্যাবে পরীক্ষা করার জন্য নেয়া স্যাম্পল ঘি আনতে বাঁধা দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে অসহযোগিতা করে। যে কারণে নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী নমুনা সংগ্রহে বাঁধা প্রদানের জন্য নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষণ ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয়। সেই সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়।
অভিযানকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মির্জা শাহরান হোসাইন, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. নাজিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্যের অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন।