ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির জেরে বরগুনা জেলার প্রায় দুই হাজার মাছ ধরা ট্রলার সাগরে যাওয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বরাবর কয়েক দফা দাবি উল্লেখ করে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।
‘ডিজেলের দাম কমাতে হবে, মৎস্য সেক্টর রক্ষা করতে হবে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রোববার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় পাথরঘাটা পৌর শহরের শেখ রাসেল স্কয়ার চত্বরে মানববন্ধন করে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার সমিতি, বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতিসহ মৎস্য সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংগঠনসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।
পরে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএন) মাধ্যমে ৩ দফা দাবি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন। দাবিগুলো হলো, অনতিবিলম্বে জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে পূর্বের নির্ধারিত মূল্য নির্ধারণ করা, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জলসীমায় বিদেশি ট্রলার অনুপ্রবেশ বন্ধ করা এবং দেশীয় জলসীমায় নির্ধারিত জায়গায় ট্রলিং জাহাজ বাইচ নিশ্চিত করা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম মিয়া, পাইকার সমিতির সভাপতি সাফায়েত মুন্সি, আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসাইন, প্রথম করে পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাঁকন, বিএফডিসি মৎস্য বাজার ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ফারুক আকন, ওয়াকশপ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন এসমে প্রমুখ।
বক্তারা দাবি করেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য আজ থেকেই দেড় হাজার মাছ ধরা ট্রলার সাগরে যাওয়া বন্ধ, পাশাপাশি এখন যেসব ট্রলার সাগরে আছে সেসব ট্রলার কুলে এলে আর সাগরে যেতে দেওয়া হবেনা।
কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাঁকন বলেন, দেশের গুটিকয়েক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ডিজেল কালো পথে পাচার করে। তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিলে তেলের যেমন সংকট হবে না তেমনি অসাধু ব্যবসায়ীরা মূল্য বৃদ্ধি করতে পারবেনা।