ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ০২ জুলাই মঙ্গলবার সকালে নগরীর পীরজাবাদ এলাকায় ( প্রাইম মেডিকেল কলেজ মোড়) একটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে তদারকি চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়।
এ সময় দুধের পরিবর্তে সাদা পাউডার, দুধ সহ আম, লিচু,কলা, আনারস ইত্যাদি ফ্লেভার, চকলেট এর পরিবর্তে চকলেট কালার, চিনির পরিবর্তে স্যাকারিন সহ নানা ধরনের নিষিদ্ধ ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল কাপ,বার,আইসললী সহ নানা ধরনের আইসক্রিম। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ ও ঘটনার সদুত্তর দিতে ব্যার্থ হয়ে অপরাধের দায় স্বীকার করায় তাৎক্ষণিক ২০,০০০ টাকা জরিমানা এবং সকল উপকরণ ধ্বংস করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে উপ-পরিচালক জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
এ সময় তার সাথে ছিলেন সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ বোরহান উদ্দিন। পরে সেখান থেকে নিসবেতগঞ্জ এলাকায় আরো একটিট রেস্টুরেন্টে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ২০০০ এবং ক্যান্টনমেন্ট চেকপোস্ট এলাকায় একটি ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ ডিসপ্লেতে বিক্রির জন্য প্রদর্শন করার অপরাধে ২০০০ টাকা জরিমানা করেন তারা।
এ তদারকি চলাকালীন সহায়তা করে মেট্রো পলিটন পুলিশ ফোর্স ও ক্যাব রংপুর।
এদিকে দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলায় নকল কসমেটিকস বিক্রয়ের অপরাধে দুজনকে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করেন দিনাজপুর জেলার সহকারী পরিচালক জনাব মমতাজ রুনি।
অপরাধী দুজনই ছাত্র। তথ্য সূত্রে জানা যায়, “চকবাজার পাইকারি গ্রুপ” নামক একটি অনলাইন মাধ্যম হতে বিভিন্ন ধরনের নিম্নমানের কসমেটিকস সামগ্রী বাজারজাত করে আসছিলেন তারা। ভবিষ্যতে এধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন এই মর্মে মুচলেকা স্বাপেক্ষে তাদের সতর্ক করেন তিনি। সেই সাথে দেড় লক্ষাধিক মূল্যের নিম্নমানের পণ্য ধ্বংস ও করেন।
অভিযান শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি ভোক্তা সাধারণ এর উদ্দেশ্যে এই মর্মে সতর্কবার্তা দিয়েছেন যে, যারা বিভিন্ন প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করেন, তারা যেন তা ব্যবহার শেষে খালি মোড়কগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়। কারণ এসব মোড়ক বা পাত্র অসাধু ব্যবসায়ীরা আবারো সেগুলো ব্যবহার করে নিম্নমানের পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ পায়। তখন মোড়ক দেখে নকল যাচাই এর কোনো সুযোগ থাকেনা।
অপর একটি অভিযানে হারাগাছের সরাইবাজার এলাকায় একটি সার বিক্রির প্রতিষ্ঠানে ১০,০০০ টাকা জরিমানা করেন রংপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব আফসানা পারভীন।