ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে রংপুর নগরীর সাতমাথা এলাকায় তিনটি প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়। এ সময়, ‘মিষ্টার কেক’ নামক প্রতিষ্ঠানে মনিটরিংকালীন সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি এবং খাদ্য তৈরির নামে প্রতারণার প্রমান পাওয়া যায়।
সেখানে দেখা যায়, শুধু ময়দা বাদে সকল নকল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জন্মদিনের কেক। যাতে ব্যাবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ রং, সুগন্ধি আর ক্রিমের পরিবর্তে ডালডা। বগুড়ায় প্রধান শাখা দাবি করলেও তারা দাবির পেছনে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। ট্রেড লাইসেন্স এবং বিএসটিআই লাইসেন্সের কথা জানেই না অথচ দিব্যি বিএসটিআই এর অনুমোদন সিল ব্যাবহার করা হচ্ছে। নেই উৎপাদন কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ।
শহরের বিভিন্ন কনফেকশনারি প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যায় এই কেক গুলো, আর এগুলো খেয়ে আর্থিক ও শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ ভোক্তা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভোক্তা অধিকার আইনে তাৎক্ষণিক ১৬,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রংপুর, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। ওদিকে পশু খাদ্য সঠিক নিয়মে সংরক্ষণ না করার অপরাধে, মহীষ আলার মোড় এলাকায় ‘বকুল পিঠ ষ্টোর’কে নগদ ১৫০০ টাকা জরিমানা করেন সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আরিফ মিয়া।
এ সময় মনিটরিং এ সহায়তা করে ক্যাব রংপুর, মেট্রোপলিটন পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ।