মোঃ আহসান উল হক তুহিন: নিম্নমানের উপকরণে বাসি তেলে তৈরি হচ্ছে মুখরোচক চানাচুর। প্রতিদিন ৬০/৭০ কেজি সরবরাহ করা হচ্ছে সিটি বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে। এমনই ভয়ঙ্কর চিত্র ধরা পড়লো রংপুর নগরীর ধর্মদাস এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে অবস্থিত ‘ফাতেমা সুইটস এন্ড সবুজ চানাচুর’ কারখানায়।
মঙ্গলবার সেখানে অভিযান চলাকালে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পন্ন বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন- টেস্টিং সল্ট, নিম্নমানের রংসহ বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি পায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়।
নিম্নমানের আটা, ময়দা ও বেসনের সঙ্গে রং মিশিয়ে তিন/চার দিন আগের বাসি তেলে ভাজা হচ্ছিল চানাচুর। এতে ব্যবহৃত হয় বাদাম, মটর, মুরালি, ঝুড়িসহ নানা উপাদান। পরে তা ঘরের ভেতরে খোলা মেঝেতে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পন্ন মসলাযোগে তৈরি হচ্ছে মুখরোচক চানাচুর।
একই বাড়িতে কবুতর ও মুরগি পালন করায় উৎপাদিত চানাচুর ও অনুৎপাদিত উপকরণের আশপাশে পড়ে থাকতে দেখা যায় বিষ্ঠা। ওই প্রতিষ্ঠানের সামগ্ৰিক পরিবেশ ও উৎপাদন প্রক্রিয়া বিবেচনায় ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৩ ধারায় তাৎক্ষণিক ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেন সহকারী পরিচালক মো. আরিফ মিয়া।
এদিকে, প্রস্তুতকৃত খাদ্যে খোলা লবনের ব্যবহার, ফ্রিজে কাঁচা ও রান্না করা খাবার একইসঙ্গে সংরক্ষণ করা ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে দমদমা এলাকায় ‘মোল্লা হোটেল’কে ওই একই ধারায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।
অপরদিকে, মডার্ন মোড় এলাকায় ডিসপ্লেতে প্রচুর পরিমাণে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখায় ‘আরিফ মেডিসিন’কে নগদ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ওই বিভাগের উপ-পরিচালক মো জাহাঙ্গীর আলম।
অভিযান চলাকালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।
অভিযান সহায়তা করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স।
অভিযানে ক্যাব রংপুরের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।