পায়রা সেতু খুলে দেওয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড়। অন্যান্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি পর্যটকের দেখা মিলছে সৈকতে। বিকেল থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে গোটা এলাকা।
গত রোববার (২৪ অক্টোবর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পায়রা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সেতু খুলে দেওয়ার পর থেকে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের পর্যটক স্পট কুয়াকাটায় ছুটছেন মানুষ।
ভোরে সূর্যোদয় দেখা, দুপুরে সৈকতে গোসল করা, বিকেলের সূর্যাস্ত উপভোগ করছে পর্যটকরা। ১৮ কিলোমিটার সৈকত ঘিরে পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছে আপন মনে।
বরিশাল থেকে আসা এক পর্যটক জানান, পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসছি। ২ ঘণ্টা ১০ মিনিটে কুয়াকাটা পৌঁছেছি কোনো ফেরির বিড়ম্বনা ছিলনা। চেষ্টা করলে সকালে এসে ঘুরে আবার বিকেলে চলে যাওয়া যাবে।
সৈকতের ঝিনুক ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া জানান, পায়রা সেতু খুলে দেওয়ায় পর থেকে পর্যটক বাড়ছে। আমরা আসা করছি করোনায় আমরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি তা কাটিয়ে উঠতে বেশিদিন লাগবে না।
সেখানকার হোটেল গাজী প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী মোহাম্মদ হানিফ জানান, দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলাম পায়রা সেতুর জন্য। পর্যটকরা ফেরিতে আটকে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে কুয়াকাটা পৌঁছাতো। কিন্তু সে সমস্যা নেই।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, সেতু খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায়ীসহ পর্যটকদের ভাগ্য খুলে গেছে। কুয়াকাটায় যার পর্যটকরা ভোরে পৌঁছে সূর্যোদয় দেখতে চান। সেই চাওয়াটা পূরণ করেছে এবার পায়রা সেতু।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জানান, মৌসুম শুরুর আগেই পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। তাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন টিম সৈকতে সবসময় নিয়োজিত রয়েছে।