মোঃ আহসান উল হক তুহিন: রংপুরে তিন প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার দুপুরে নগরীর কাচারী বাজার এলাকায় অবস্থিত ‘পিয়াসী, মৌবন ও স্টার রেস্তোরাঁয় তদারকি করেন অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সে সময় পিয়াসী রেস্তোরাঁয়, মিয়াজীপুর, মিরপুরী এবং পুষ্টি চা এর অনেকগুলো প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। যেগুলো হুবহু অন্যান্য ব্র্যান্ডের কোম্পানির প্যাকেট কপি করে নিম্নমানের চা ভর্তি করে গোপনে বাজারজাত করা হয়। এছাড়াও সেখানে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিনবিহীন খোলা লবণ পাওয়া যায়। ওই রেস্তোরাঁয় মিষ্টিসহ যাবতীয় খাদ্যের কোন মূল্য তালিকাও ছিল না। ভোক্তা-অধিকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য বিশেষত সেবার মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা (৩৯) এবং অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ (৪৩) করায় ওই প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বোরহান উদ্দিন।
এদিকে, রংপুর বার মার্কেটের পশ্চিম দিকে অবস্থিত মৌবন রেস্তোরাঁয় ফ্রিজে ভেজে রাখা বাসি মাছসহ পাঁচটি গ্ৰীল করে রাখা মুরগি পাওয়া যায়। যেগুলো খবরের কাগজে মুড়িয়ে সেখানে রাখা ছিল। সেখানেও মূল্য তালিকা উপযুক্ত স্থানে ঝুলিয়ে না রাখাসহ পিয়াসী রেস্তোরাঁর অনুরুপ অপরাধ পরিলক্ষিত হওয়ায় ভোক্তা-অধিকার আইন ২০০৯ এর অনুরুপ ধারায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপ-পরিচালক (সিনিয়র সহকারী সচিব) মো. আজহারুল ইসলাম।
পরে স্টার রেস্তোরাঁয় তদারকির সময় অনুরুপ অপরাধ দৃশ্যমান হবার পাশাপাশি লন্ড্রীতে ব্যবহৃত এরারুট এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হাইড্রোজ উদ্ধার হলে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক তার ছেলেসহ তদারকি টিমের সঙ্গে অসদাচরণ করে। তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে দায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণের (৪২) দায়ে তাৎক্ষণিক এক হাজার টাকা জরিমানা করে কঠোর ভাবে সতর্ক করে দেন উপ-পরিচালক (সিনিয়র সহকারী সচিব) মো. আজহারুল ইসলাম।
তদারকি শেষে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ভোক্তাদের আইন সিদ্ধ ন্যায্য অধিকার সংরক্ষণে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বদ্ধপরিকর। ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে এ অভিযান চলমান থাকবে।
অভিযানে সহায়তা করে ক্যাব রংপুর ও মেট্রোপলিটন পুলিশের রিজার্ভ ইউনিট। পরবর্তীতে যোগ দেয় মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানা।