বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় ইলিশ রক্ষা অভিযানের ট্রলারে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে কাঠের চরের আড়িয়াল খাঁ নদীতে ও বিকেলে চরডাকাতিয়া এলাকার সন্ধ্যা নদীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে মৎস্য অধিদফতর ও পুলিশ সদস্যরা একটি ট্রলার ও একটি স্পিডবোট নিয়ে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে বের হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাঠেরচর এলাকায় গেলে জেলেরা লগি-বইঠা নিয়ে হামলা করেন। এ সময় নদীর তীর থেকেও ট্রলারের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। অভিযানিক দল পাল্টা ধাওয়া দিলে জেলেরা ধান ক্ষেতের মধ্য লুকিয়ে পড়েন।
অন্যদিকে বিকেলে চরডাকাতিয়া এলাকার সন্ধ্যা নদীতে অভিযান চালাতে গিয়ে ফের হামলার শিকার হয় দলটি। সেখানে চারটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে করে বেশ কয়েকজন জেলে ইলিশ শিকার করছিলেন। এ সময় আভিযানিক দলের সদস্যদের তৎপরতায় দেই জেলেকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় তিনটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও বিপুল পরিমাণ জাল। এছাড়া ট্রলার থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ কেজির বেশি ইলিশ মাছ। পালিয়ে যাওয়া জেলেদের ধরতে ধাওয়া করতে গেলে অভিযানিক দল হামলার শিকার হয়
এসব বিষয়ে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, মা ইলিশ রক্ষার নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনের বাকি মাত্র দুদিন। নিষেধাজ্ঞার শেষ দিকে এসে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন জেলেরা। অভিযানে নেমে বৃহস্পতিবার দুদফায় অভিযানের ট্রলারে হামলা চালানো হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় অভিযানে কোনো প্রভাব পড়েনি। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে অভিযান চালানো হয়েছে।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, অভিযানে পুলিশের সংখ্যা কম ছিল। মাত্র দুজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। পুলিশের সংখ্যা কম দেখে জেলেরা হামলা চালানোর সাহস দেখিয়িছেন। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলে নেওয়া হয়েছে। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চালানো অভিযানে ইলিশ শিকারের অপরাধে দুই জেলেকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে তিনটি ট্রলার ও ৬০ হাজার মিটার জাল। আগামী দুদিন অভিযান আরও জোরদার করা হবে।