ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বরিশালে গত এক সপ্তাহ ধরে পাইকারি বাজারে সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও খুচরা বাজারে তা দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।
বুধবার বরিশাল নগরীর একমাত্র পাইকারি কাঁচামালের বাজার বহুমুখী সিটি মার্কেট ও খুচরা বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
পাইকারি ও খুচরা বাজারের মূল্যে দ্বিগুণ পার্থক্যের বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বাংলাবাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পাইকারি মোকাম থেকে সবজি কেনার পর পরিবহন ব্যয় ও শ্রমিক মজুরি দিয়ে আনতে হয়। তারপর বাজারে সবজি নিয়ে বসলে সেজন্য ভাড়া দিতে হয়। লাইটের জন্য আলাদা টাকা দিতে হয়। অনেক সময় সবজি নষ্ট হয়ে গেলে আমাদের লোকসান গুনতে হয়। তাই খুচরা বাজারের সঙ্গে পাইকারি দরের তুলনা করে লাভ নেই।
নগরীর বহুমুখী সিটি মার্কেট পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী মেসার্স দুলাল বাণিজ্যালয়ের প্রোপাইটর আমিন শুভ বলেন, পাইকারি বাজারে গত এক সপ্তাহ ধরেই সব ধরনের সবজি একই দামে বিক্রি হচ্ছে। শুধু দু’একটা সবজির দাম দুই টাকা থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া সব সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিক্রেতা বলেন, ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজার থেকে পণ্য কিনে নিয়ে গাড়ি ভাড়া দিয়ে খুচরা বাজারে বিক্রি করে। সে ক্ষেত্রে কিছুটা লাভ রাখতে পারে। কিন্তু প্রায় সময় দেখি পাইকারি বাজার থেকে পণ্য কিনে নিয়ে দ্বিগুণ তিনগুণ দামে বিক্রি করছে।
বহুমুখী সিটি মার্কেট পাইকারি বাজারে ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ ধরেই শসা প্রকারভেদে ২৫/৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আলু ২০/২৫ টাকা, পেঁয়াজ ইন্ডিয়ান ৩৫/৪০, দেশি ৫০/৫৫ টাকা, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩০ টাকায়।
এছাড়া প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, বরবটি প্রতি কেজি ২০ টাকায়, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ২০/২৫ টাকা, বেগুন ২৫/৩০ টাকা, পটল ১৫ টাকা, পেঁপে ২৫/৩০ টাকা, ঝিঙা ২৫ টাকা, কাঁকড়ল ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ২০/২৫ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ২০/২৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৬০ টাকা এবং জালি কুমড়া প্রতি পিস ২০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একই সবজি খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। এর মধ্যে শসা ৬০ টাকা, ৪০ টাকা, পিঁয়াজ ইন্ডিয়ান ৫০, দেশি ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, কাঁকড়ল ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ১০০ টাকা এবং জালি কুমড়া প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, সবজির দামের পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। অন্যদিকে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম ৭০ টাকা।
তবে প্রকারভেদে চাষের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এর মধ্যে তেলাপিয়া মাছ ২৫০ টাকা করে কেজি, পাঙ্গাশ ২৫০-২৬০ টাকা, গলদা চিংড়ি প্রকারভেদে ৭২০-১২৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৫৫০-৬০০ টাকা, ছোট দেশি চিংড়ি ৬৫০-৭২০ টাকা। ইলিশ কেজি সাইজ ১২০০-১৫০০ টাকা, ছোট ইলিশ ৫৫০-৬৫০ টাকা, শিং মাছ ৫০০-৫৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।