ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: নাটোরের গুরুদাসপুরে ভেজাল গুড় তৈরি, সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে মোট এক লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫)।
বৃহস্পতিবার সকালে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে বুধবার দিবাগত রাতে গুরুদাসপুর থানার চাচকৈড় পুরাতন পাড়া এলাকায় বিশেষ ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি অপারেশন দল ও জেলা ভোক্তা অধিদপ্তর।
অভিযুক্ত দুই গুড় ব্যবসায়ী হলেন- গুরুদাসপুর থানাধীন মেসার্স আলামিন এন্টারপ্রাইজের (গুড় কারখানা) মালিক মো. আলামিন সোনার (৪০) ও মুক্তার এন্টারপ্রাইজের (গুড় কারখানা) মালিক হাজী মো. মুক্তার শাহ্ (৫০)।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযুক্ত ওই দুই গুড় ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে তাদের কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিক্রয় করে আসছিলেন। বুধবার দিবাগত রাতে বিশেষ ভেজালবিরোধী অভিযানে কারখানা থেকে নয় হাজার ৪০০ কেজি ভেজাল গুড় ও ২৪ হাজার ৩০০ লিটার ভেজাল চিনির সিরাপ জব্দ করা হয়।
পরে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫০ ধারায় আলামিন সোনারকে এক লাখ টাকা এবং হাজী মো. মুক্তার শাহকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৩ ধারায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরবর্তীতে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নাটোরের নির্দেশক্রমে জব্দকৃত ভেজাল আলামতসমূহ উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও জরিমানাকৃত এক লাখ ৪০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানি অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন ও কোম্পানি উপ-অধিনায়ক, সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এবং জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীর।