ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: নাটোরে চিনির সিরাপ, ফিটকারি, রংসহ নানা উপকরণ মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি, সংরক্ষণ ও বাজারজাত করার অভিযোগে ছয় ব্যবসায়ীকে মোট দুই লাখ ৬৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার র্যাবের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) জেলার গুরুদাসপুর ও সিংড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের দুই লাখ ৬৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তাদের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল গুড় ও ভেজাল চিনির সিরাপ জব্দ করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব- ৫) সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানি অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন ও কোম্পানী উপ-অধিনায়ক, সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এবং জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীর।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার জেলার গুরুদাসপুর থানার কুমারখালী গ্রামে এবং সিংড়া থানার চকবলরামপুর গ্রামে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় গুরুদাসপুরের মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সে মালিক মো. আব্দুল হান্নান শেখকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, সিংড়ার সোহেল গুড় ভান্ডারের মালিক মো. সোহেল রানাকে (৩৪) ২০ হাজার টাকা, নুরুজ্জামান গুড় ভান্ডারের মালিক মো. নুরুজ্জামান ইসলামকে (৫০) ৩৫ হাজার টাকা, আজহারুল গুড় ভান্ডারের মালিক মো. আজহারুল ইসলামকে (৪৭) ২৫ হাজার টাকা, তফিকুল গুড় ভান্ডারের মালিক মো. তৌফিকুল ইসলামকে (৪৫) ১৫ হাজার টাকা ও শাহিন গুড় ভান্ডারের মালিক মো. শাহাদাৎ হোসেন শাহিনকে (৪২) ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসব কারখানা থেকে ১৫ হাজার ৫০০ কেজি ভেজাল গুড় ও ৩৪ হাজার লিটার ভেজাল চিনির সিরাপ জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব- ৫ সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানি অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন জানান, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নির্দেশক্রমে জব্দকৃত ভেজাল আলামতসমূহ ধ্বংস করা হয়। এছাড়া জরিমানাকৃত সর্বমোট দুই লাখ ৬৪ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।