ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পাইকারি আড়তগুলোতে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতি কেজিতে ৩-৪ টাকা কমেছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে নিয়মিত তদারকি অভিযান চলমান থাকায় চালের দাম কমেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিন ভৈরব চাল বাজারে দেখা যায়, ব্রিআর-২৮ প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৫৪-৫৫ টাকা। ব্রিআর-২৯ চাল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫২-৫৩ টাকায়। চার টাকা কমে নাজিরশাইল ৬৮ টাকা, তিন টাকা কমে কাটারিভোগ ৬৯ টাকা এবং চার টাকা কমে মিনিকেট প্রতি কেজি ৬২-৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় সবধরনের চালে ৩-৪ টাকা কমেছে বলে জানান ভৈরব বাজারের পাইকারি চাল বিক্রেতা রাজু ট্রেডার্সের মালিক কামাল মিয়া।
দিদার ট্রেডার্সের মালিক দিদার মিয়া বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে কোনো চালের সংকট নেই। সে কারণে চালের দাম কমেছে। দাম কমায় ক্রেতাদের মাঝেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।’
শাহজালাল ভান্ডারের মালিক সেলিম রেজা বলেন, চালের বাজার বাড়ার তো কোনো কারণ নেই। ধানের দাম তো বাড়েনি। দেশের বড় বড় মিল মালিকদের কারসাজিতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রিত হয়। তাদের ইচ্ছামতো দাম বাড়ে-কমে।
জেলা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা নিয়মিত তদারকি করায় সবধরনের চালের দাম কমতে শুরু করেছে।