ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বাগেরহাটে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করে হারিয়ে যাওয়া পণ্যের ক্ষতিপূরণ হিসাবে এক লক্ষ ৭২ হাজার টাকা পেয়েছেন আল মামুন নামের এক প্রবাসী।
বুধবার বিকেলে রেডএক্স কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ আল মামুনের ব্যাংক হিসেবে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করেন।
ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝে পেয়ে প্রবাসী আল মামুন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে তার অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তরের বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান এসব তথ্য জানান।
ক্ষতিপূরণ পাওয়া বাগেরহাট শহরের খারদ্বার এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী আল মামুন বলেন, ‘সৌদি আরব থেকে ঢাকা এসে গত ১৯ মে বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। রওনা দেওয়ার আগে আমার কাছে থাকা বিদেশী কিছু ব্যবহারিক জিনিসপত্র রেডএক্স কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাগেরহাটের ঠিকানায় পার্সেল করে দেই। ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে রেডএক্স বাগেরহাট শাখায় যোগাযোগ করে জানতে পারি কুরিয়ার কর্তৃপক্ষ জিনিসপত্রগুলো হারিয়ে ফেলেছে। পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার কুরিয়ার সার্ভিসে যোগাযোগ করলেও তারা এ ব্যাপারে কোন সমাধান করেনি। তাই বাধ্য হয়ে ২০ জুন ভোক্তা অধিদপ্তরের বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। ভোক্তা অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে তারা আমাকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হয়েছে। আমি খুব খুশি হয়েছি।’
ভোক্তা অধিদপ্তরের বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, ‘প্রবাসী আল মামুনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে দু’পক্ষকে ডেকে শুনানী করা হয়। শুনানীতে অভিযুক্ত কুরিয়ার সার্ভিস তাদের দোষ স্বীকার করে এবং অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষতিপূরণ দেবার প্রতিশ্রুতি দেন।’
তিনি বলেন, ‘অভিযোগকারীর হারিয়ে যাওয়া মালামালের তালিকা প্রস্তুত করে বাজারমূল্য যাচাই করে দেখা যায় ওই মালামালের মূল্য এক লক্ষ ৭২ হাজার টাকা। কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ আল মামুনের ব্যাংক হিসাবে এক লক্ষ ৭২ হাজার টাকা দিয়েছেন। কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতে আরও সতর্কতার সঙ্গে ব্যবসা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’